নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেলেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। বুধবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ রায়। যদিও জামিনের জন্য একাধিক শর্ত মানতে হবে কুন্তলকে। তবে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না কুন্তল।
অপরদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুক্তির জন্য এখনও অপেক্ষা করতে হবে পার্থকে। বিচারপতিদের মতানৈক্যের জেরে জামিন পেয়েও জেলমুক্তি হচ্ছে না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার পার্থ সহ চারজন অভিযুক্তের জামিন নিয়ে মতানৈক্য দেখা গেল দুই বিচারপতির। যার জেরে মামলা গেল প্রধান বিচারপতির কাছে। কাজেই আপাতত জেলেই থাকছেন পার্থ। তাঁদের জামিন নিয়ে এবার তৃতীয় বেঞ্চ গঠিত হবে। সেই বেঞ্চই দেবে শেষ ও চূড়ান্ত রায়।
২০২২ সালের ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশির পর গ্রেপ্তার হন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী। নিয়োগ দুর্নীতি মালায় বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলবন্দী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধের অভিযোগ উঠেছিল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে করেছেন পার্থ। গ্রেপ্তার হওয়ার ১৩ মাস পর কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন পার্থ। কিন্তু লাভ হয়নি। পরবর্তীতে গত অক্টোবরে জামিনের জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। জামিন মামলা গ্রহণ করে বিচারপতিরা নিম্ন আদালতকে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দেয়। এনিয়ে সব পক্ষকে নোটিস জারি করে শীর্ষ আদালত।
পার্থ-সুবীরেশ-কল্যাণময়দের জামিন নিয়ে পরবর্তীতে দীর্ঘ শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। ৭ অক্টোবর শেষ হয় শুনানি। তবে সেদিন আদালত রায়দান স্থগিত রেখেছিল। বুধবার রায়দানের সময় দেখা গেল দুই বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেছেন। মামলা শোনার পর বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সব অভিযুক্তকেই জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় পার্থ-সহ পাঁচ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেননি। কার্যত এদিন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি ফের প্রধান বিচারতির কাছে পাঠানোর সুপারিশ করেছে। এরপর প্রধান বিচারপতি নতুন করে বেঞ্চ গঠন করবেন। সুতরাং পার্থর অনুরাগীরা তাঁর ঘরে ফেরার যে আশা দেখেছিল তা এখনই পূর্ণ হচ্ছে না।