সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন পিছিয়ে গেল। আর তা নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। করোনা সংক্রমণের গ্রাসে গোটা দেশ। প্রত্যেকদিনই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই অবস্থায় সংসদের বাদল অধিবেশন আগস্ট থেকে পিছিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন আগস্ট মাসের শুরুতেই রামমন্দিরের ভূমিপুজো নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই করোনার নাম করে অধিবেশন কৌশলে পিছিয়ে দেওয়া হল। করোনা আবহে যদি ভূমিপুজোয় অংশ নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী তাহলে অধিবেশন নয় কেন? জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে এই প্রশ্নও উঠছে।
করোনা পরিস্থিতি বিচার করেই বাদল অধিবেশনের দিন চূড়ান্ত করবে রাজ্যসভা ও লোকসভা। গত কয়েক সপ্তাহে দিল্লির করোনা পরিস্থিতিতে সামান্য উন্নতি দেখা দিয়েছে। তবে সংসদের অধিবেশনে বেশি সংখ্যক সাংসদদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হলে, সারা দেশের কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া অত্যাবশ্যক। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, একটি অধিবেশন শেষ হওয়া এবং পরের মরশুমের অধিবেশন শুরু হওয়ার মধ্যে ৬ মাসের বেশি ফারাক থাকার কথা নয়। এই নিয়ম মেনেই, রাজ্যসভা এবং লোকসভার অধিবেশন সেপ্টেম্বর মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত করার সময় রয়েছে। এই নিয়মকে অজুহাত হিসাবে দাঁড় করানো হচ্ছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা। এখন দেখার এই রাস্তায় হেঁটে কতটা লাভ হয় কেন্দ্রীয় সরকারের।
এই বছর বাদল অধিবেশনে নিতে হবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মজুত রাখতে হবে করোনা সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। সাংসদদের মধ্যে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয় সেটাও দেখতে হবে। সাংসদদের বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে বসানোর আয়োজন করা হতে পারে এবং সেখান থেকে তাঁরা ডিজিটাল মাধ্যমের সাহায্যে অংশ নেবেন অধিবেশনে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু অবশ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়েছেন, যদি ভিন্ন রাজ্যে সফর করার জন্যে সরকারি আধিকারিকদের আইসোলেশনে থাকতে না হয়, তাহলে সাংসদদেরও সেই ছাড় দেওয়া উচিত। তাঁর আবেদনে শিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
ছবি—পিটিআই।