রাজ্য লিড নিউজ

Park Street Shootout: ছন্দে ফিরছে কিড স্ট্রিট

শনিবার সন্ধ্যে ৬টার পর থেকে জাদুঘরের আশুতোষ শতবার্ষিকী হলের কাছে সেন্ট্রাল ইনডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের ক্যাম্প ঘিরে যে আতঙ্কের পরিবেশ ছিল, সেই আতঙ্কের পরিবেশ কিছুটা হলেও রবিবার সকালে বদলেছে। ক্রমশই ছন্দে ফিরছে কিড স্ট্রিট এলাকা। কিন্তু যিনি আতঙ্ক ছড়ালেন, সিআইএসএফের সেই হেড কনস্টেবল কেন হঠাৎ আনস্টেবল হয়ে উঠলেন, সেটা রীতিমতো চিন্তা বাড়াচ্ছে আমজনতা থেকে শুরু নিরাপত্তাবাহিনীর।

শনিবার সন্ধ্যে ৬.৩০। AK-47 হাতে নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন হেড কনস্টেবল অক্ষয়কুমার মিশ্র। ব্যারাকের ভিতরে থাকা গাড়িতে গুলি লাগে। এমনকি ওই হেড কনস্টেবলের গুলিতে মৃত্যু হয় সিআইএসএফের এএসআই রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গির। গুলিবিদ্ধ সুবীর ঘোষ, সিআইএসএফের অ্যাসিন্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট। এরপর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে কলকাতা পুলিশের কম্যান্ডো বাহিনী, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ সহ ডিজি আইজি পদমর্যাদা র়্যাঙ্কের অফিসাররা ব্যারাকে প্রবেশ করেন। আলো নিভিয়ে, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল নিজে আততায়ীকে আত্মসমর্পন করার জন্য বোঝান। রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি প্রায় দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত ৮ টা নাগাদ অভিযুক্ত অস্ত্র ফেলে দেয়।

ধৃত অক্ষয়কুমার মিশ্র ওড়িশার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বাড়ির যাওয়ার জন্য ছুটি চেয়েছিলেন এ.কে মিশ্র। সেই ছুটি না পাওয়ায় ব্যারাকের মধ্যে মাথা গরম করে সহকর্মীদের গালিগালাজও করে বসেছিলেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ শোনা গিয়েছে ব্যারাকের অন্দরে। রাতে সেভাবে কিছু না খেলেও পরে ঊর্ধ্বতন কর্তারা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলে শেষ পর্যন্ত তিনি শান্ত হয়ে যান তখনকার মত।

প্রসঙ্গত, বুধবারই বাবার মৃত্যুর কারণে ছুটির আবেদন নিয়ে বড় কর্তাদের কাছে গিয়েছিলেন ওই হেড কনস্টেবল। এই সমস্ত কারণেই হয়ত তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। যদিও তিনি একজন নম্র এবং ভদ্র কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ১০ জুন পার্ক সার্কাসের বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে লোয়ার রেঞ্জে কর্মরত কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল চোডুপ লেপচাও একইভাবে গুলি চালিয়েছিল। সেইবার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল দুই জনের।