বিজেপি’র এখন পাখির চোখ বাংলা দখল। তাই নানা কর্মসূচি সাজিয়ে জেলায় জেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাঁরা। সেখানে আর নয় অন্যায়, চায়ে পে চর্চা, আর নয় বঙ্গ নারীর অসুরক্ষা–সহ একাধিক কর্মসূচি তাঁরা নিয়েছে। কিন্তু দলের অন্দরে যে চোরাস্রোত বইছে তা তো অস্বীকার করা যাবে না। এবার দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন স্বয়ং লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস। আর তাঁর তোলা অভিযোগ থেকে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা বেশ কঠিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রীতিমতো ফুঁসে উঠেন পরেশ বাবু। ফেসবুকে তিনি লেখেন, বিভিন্ন জেলায় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের অনেকেই মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেনি এবং নানা ধরনের অসামাজিক, অসৎ কাজে লিপ্ত। এইসব কাণ্ড কি রাজ্য নেতৃত্ব জানেন না, না কি তারা নিরুপায়? তাদের উদ্দেশ্যে আমার একান্ত অনুরোধ দেওয়ালের লিখন পড়ুন তা নাহলে দেরী হয়ে যাবে। স্বপ্ন আমদের পূর্ণ হবে না আগামী বছর। নন্দলাল হয়ে কি লাভ?’
শুধু রাজ্য নেতৃত্বের মুখের দাবিতে যে বাংলায় ক্ষমতা দখল সম্ভব নয়, সেই কথাটিই যেন স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি লিখেছেন, সর্বোচ্চ স্তরে ওবিসি এবং এসসি/এসটি–দের দায়িত্ব দিয়ে জনসংযোগ ঘটাতে না পারলে বিজেপি শক্তিশালী হবে না। আজকের ভারতের ছবি এটাই। মুসলমানদের বিষয়ে রাজ্যের স্ট্র্যাটেজি কি? মুসলমানরা কি সরকার গঠনে অংশগ্রহণ করবে না? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোচবিহারের বর্ষীয়াণ বিজেপি নেতা উৎপলকান্তি দেব তৃণমূলে যোগ দিয়েও একই কথা বলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ১৯৮৩ সাল থেকে বিজেপি করছি। কিন্তু সেই বিজেপি আর নেই। এখন দলের সব নেতারাই তোলাবাজিতে ব্যস্ত। সাধারণ মানুষের উন্নয়ন নয়, এখনকার বিজেপি নেতাদের একটাই কাজ তা হল—তোলাবাজি। এবার লোকসভার প্রার্থীর মুখেও একই কথা সেই দাবিকেই যেন আরও জোরদার করছে।