মুখ্যমন্ত্রী স্কুল খোলার ইঙ্গিত দিতেই আশার রেখা দেখছেন শিক্ষক এবং অভিভাবকরা। করোনার তৃতীয় ঢেউকে কেউই অস্বীকার করছেন না। তবে, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে স্কুল খোলার পক্ষপাতী প্রায় সবাই। প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকের পড়ুয়ারা দেড় বছরেরও বেশি স্কুল ছাড়া। পড়ুয়াদের পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষক এবং অভিভাবকরা। বিশেষত, কলকাতার স্কুলগুলি না খোলার কোনও কারণ নেই বলেই মত তাঁদের।
বেসরকারি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলি বন্ধ থাকলেও তাতে অনলাইন ক্লাসের কোনও খামতি নেই। বরং, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা বাড়াবাড়িই হচ্ছে। তবে, সেটা অফলাইন ক্লাসের বিকল্প নয় বলেই মনে করছেন তাঁরা। আর এখন ক্লাস ফোর-ফাইভের ছেলেমেয়েরা নিজেদের নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। মাস্ক পরে থাকা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করাকে ওরা আয়ত্ত করে ফেলেছে। পুজোর পরে সমস্ত শিক্ষকের টিকাকরণ হয়ে গেলে একদিন অন্তর স্কুল খোলায় কোনও বাধা থাকা উচিত নয়। নিচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের হয়তো ওই সময় টিকাকরণ হবে না, তবে তাতে অসুবিধা নেই। স্কুলগুলিও যথেষ্ট সতর্কতা নিচ্ছে।
তবে, তৃতীয় ঢেউ আসছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। তাই, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, অভিভাবক এমনকী, ছাত্রছাত্রীদের রেখে একটি কমিটি গঠন করা উচিত। তারাই বলুক স্কুল কবে থেকে খোলা যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীকে সেই কমিটি গঠনের জন্য আবেদন করা হচ্ছে। উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্য ব্লেন্ডেড বা মিশ্র পদ্ধতিতে পঠনপাঠন চলুক। কলকাতার একটি পুরস্কুলে টিকাকরণ কেন্দ্র চলছে। তবে, স্কুল খুললে তা সরিয়ে ফেলা হবে। পুরসভার শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, স্কুলে ফেরানোর জন্য শিক্ষকদের নিয়ে পড়ুয়াদের বাড়ি গিয়ে কাউন্সেলিং করানোর ভাবনাও রয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের। খোলার মাসখানেক আগে থেকে স্যানিটাইজ করা হবে স্কুল।
You must be logged in to post a comment.