পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শেষ। এখনও থমথমে ভাঙড়।বারুদের গন্ধ বাতাসে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ভাঙড়ের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল আইএসএফ সংঘর্ষে প্রায় ১৫ টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দোকানপাটও লুঠ করে চলে ভাঙচুর। শনিবার ভাঙড়ে স্ক্রুটিনিতে অশান্তি রুখতে কড়া নিরাপত্তা বলয় গোটা ভাঙড়জুড়ে। শনিবার সকাল থেকেই ভাঙড় ১ ও ২ ব্লক অফিসের সামনে মোতায়েন র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স।চলছে পুলিশের টহলদারি। সকাল সকালই এলাকায় পৌঁছন বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি মিস পুষ্পা। তাঁর নেতৃত্বেই এলাকায় টহল দেয় পুলিশ। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়েই বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। ১ ও ২ নম্বর ব্লক অফিসের সামনে কেউ যাতে ভিড় না করে তার জন্য মাইক নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। প্রার্থীর সঙ্গে এজেন্ট-সহ দুজনকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে বিডিও অফিসে। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পরিদর্শন করছেন বারুইপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি।
ইতিমধ্যেই ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবারই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে প্রার্থীদের এসকর্ট করে নিয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। সেই মতো পুলিশ যখন প্রার্থীদের এসকর্ট করে নিয়ে যাচ্ছিল, সেখানেই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সেখানে এক আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়। শুক্রবার গোটা ঘটনা নিয়ে ফের বিচারপতি মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সেই শুনানিতে বিচারপতি বলেন, চারদিন ধরে ভাঙড়ে লাগাতার বেলাগাম সন্ত্রাস চলছে। অবশ্যই এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে হাইকোর্ট। সাধারণ মানুষের শান্তিপূর্ণ বসবাস এবং নিরাপত্তার বিষয়ে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, এই অস্থির পরিস্থিতিতে শুক্রবার ভাঙড়ে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন রাজ্যপাল সি.ভি.আনন্দ বোস।