পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। এই অবস্থায় কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্টও চেয়ে পাঠানো হয়নি।
ভাঙড়ে অশান্তি নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় বলে জানিয়েছে কমিশন। আর সেই কারণেই ভাঙড় নিয়ে কোন রিপোর্টই তলব করেনি কমিশন এবং জেলা শাসকও আলাদা করে জানায়নি কমিশনকে।
কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও ভাঙড়ের ঘটনার সম্পর্কে কোনও অভিযোগ করেনি ফলে কমিশনও নিজের থেকে কোন পদক্ষেপ করেনি। বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানান, ভাঙড় নিয়ে তাঁর কাছে কোন রিপোর্ট আসেনি।
নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই একের পর এক অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে কমিশনারের দিকেই। সেখানে ভোট পর্বের চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগেই কমিশনের তরফ থেকে নির্বাচনী বিধি প্রত্যাহার করাকে কেন্দ্র করেই ফের বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের আইন ও নিয়ম অনুযায়ী, চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পরই প্রত্যাহার করা হয় নির্বাচনী বিধি। কিন্তু এবার রাজীব সিনহা সব নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই নিজেই নির্বাচনী বিধি প্রত্যাহার করেন। বুধবার হাইকোর্টে ফের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় কমিশনারকে। কমিশনের এই নির্বাচনী বিধি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত রীতিমতো দোলাচলে ফেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।