রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সোমবার রাজ্যে চলছে পুনর্নির্বাচন। রাজ্যে রক্তঝরা অশান্তির আবহে হওয়া নির্বাচনে সোমবার পুনরায় ভোট ৬৯৬ বুথে। শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বঙ্গে প্রবল হিংসা ও বেলাগাম সন্ত্রাস হওয়ায় পুনর্নির্বাচন জুড়ে কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তা। যে যে বুথে নতুন করে ভোট চলছে সেখানে সর্বত্র মজুত রয়েছে চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। শনিবার সর্বাধিক অশান্ত হয়ে ওঠা মুর্শিদাবাদেই সবচেয়ে বেশি বুথে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।এই জেলায় ১৭৫ টি বুথে হতে চলেছে পুনর্নির্বাচন। দার্জিলিং, কালিম্পং ও ঝাড়গ্রাম ছাড়া সব জেলাতেই কম পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন
রাজ্য নির্বাচন কমিশন শনিবার ভোটের পরে প্রতিটি জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই চলছে পুনর্নির্বাচন। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে মুর্শিদাবাদে সর্বাধিক বুথে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। পিছিয়ে নেই মালদা, নদীয়া, কোচবিহার ও উত্তর ২৪ পরগনা। মালদায় ১০৯ টি বুথে নতুন করে ভোট গ্রহণ করা হবে। নদীয়াতে ৮৯ টি বুথে, কোচবিহারে ৫৩ টি বুথে, উত্তর ২৪ পরগনা ৪৬ টি বুথে আবার হবে ভোট। এছাড়াও উত্তর দিনাজপুরে ৪২ টি বুথে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩৬ টি বুথে, পূর্ব মেদিনীপুরের ৩১ টি বুথে ভোট নেওয়া হচ্ছে। অন্য জেলা গুলিতে পুনর্নির্বাচনের চাপ কম। পশ্চিম মেদিনীপুরের ১০ টি বুথে ও হাওড়ায় ৮ টি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ রয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে যে যে জেলাগুলিতে শনিবার বেশি হিংসা হয়েছে অথবা প্রাণহানি হয়েছে সেখানেই বেশি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ রয়েছে। ফলে, নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা যে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না তা নির্বাচন কমিশনের জানানো তথ্য থেকেই পরিষ্কার। নির্বাচন কমিশন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে সোমবার প্রতিটি বুথে থাকছে হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী। উল্লেখ্য, শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর থাকলেও একটি মৃত্যুর খবর ছিল বিভ্রান্তিকর। ফলে অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানী হয়েছে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে।