ভোট গণনার দিনেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর জেলায় জেলায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট গণনা। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রের বাইরে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে রাজ্যের সশন্ত্র পুলিশ। তা সত্ত্বেও বেশ কয়েক জায়গায় গণনাকেন্দ্রের বাইরে তুমুল অশান্তির ছবি উঠে এসেছে।
ভোট গণনা শুরুর আগে উত্তর ২৪ পরগনায় সিপিএম প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আমডাঙার চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫৭ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী নিখোঁজ। গণনাকেন্দ্রের সামনে থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই অগ্নিগর্ভ ডায়মন্ড হারবার। দফায় দফায় বোমাবাজি চলছে। ফকির চাঁদ কলেজে সিপিএমের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।
ভাঙড়ে গণনার দিনে পোলেরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে উদ্ধার হল বোমা। শৌচাগারের ছাদের উপর থেকে বোমা উদ্ধার করে কাশিপুর থানার পুলিশ। কারা বোমা রেখে গেছে, তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বীরভূমের নানুরে গণনাকেন্দ্রে যেতে সিপিএম কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএম কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেও গণনাকেন্দ্রে বিরোধী প্রার্থীদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল, এমন অভিযোগ উঠে এসেছে।ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত এলাকা।