গোটা বিশ্ব যখন কোভিড–১৯–এর সঙ্গে যুদ্ধ করছে তখন জঙ্গি সংগঠন এবং তাদের শীর্ষ নেতারা জঙ্গি নিয়োগ করছে ভারতে হামলার উদ্দেশ্য। এবার পাকিস্তানের জঙ্গি কমান্ডার মাসুদ আজহার নিশানা করেছে অযোধ্যার নির্মীয়মাণ রামমন্দিরকে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি ভারতে হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র কষেছে। জঙ্গি নিয়োগের কাজও চলেছে। মাসুদ আজহার অযোধ্যার যে রামমন্দিরে হামলার ছক কষছিল, তা আর গোপন নেই। হাফিজ সৈয়দ এবং মাসুদ আজহার পাকিস্তানে বসে নানা ছক কষে চলেছে।
জানা গিয়েছে, করোনার জেরে গোটা বিশ্বে লকডাউন চললেও সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত পাকিস্তানে কোনও হেলদোল নেই। মাসুদ আজহার, হাফিজ সৈয়দরা বিনা বাধায় পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সংগঠন ঢেলে সাজাতে এই সময়টাকে কাজে লাগাচ্ছে পাকিস্তানের এই দুই জঙ্গিনেতা। অযোধ্যার নির্মীয়মাণ রামমন্দির ছাড়াও তাদের পরের ছক হল দিল্লি–মুম্বইয়ে ফের বড় হামলা করা।
সূত্রের খবর, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে একাধিক ভারত–বিরোধী ভিডিও রিলিজ করার পাশাপাশি বিবৃতিও দিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। লকডাউনের সময় পাকিস্তানের বড় শহরগুলিতে গিয়ে তারা সভাও করেছে। সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিষয়টি অস্বীকার করতেই পারেন। তবে পাক সেনা এই জঙ্গি তত্পরতার কিছুই জানে না, এটা মানা অসম্ভব।
পাকিস্তানের মাটিতে এখন ৪০ হাজার সন্ত্রাসবাদী রয়েছে। তার মধ্যে ১৬ জন রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষণায় আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা পেয়েছে। এই জঙ্গিরা জামাত–উদ–দাওয়া, জৈশ–ই–মহম্মদের সদস্য। দুই জঙ্গি সংগঠনই গোটা বিশ্বে নিষিদ্ধ। অথচ পাকিস্তানে তারা বহাল তবিয়তে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনেকেই এটিকে ভারতে নতুন সময়ের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করেন। কিন্তু পাকিস্তান অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের প্রশংসা করেনি। বরং ৫ আগস্টের পর থেকেই রামমন্দিরকে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছে পাকিস্তান। মাসুদ আজহার প্রকাশ্যেই রামমন্দির নির্মাণকে বেআইনি হিসেবে উল্লেখ করে বাবরি মসজিদের পক্ষে সওয়াল করেছিল। মাসুদকে এমন মন্তব্যও করতে শোনা যায়, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণ ঠেকাতে তার অনুরাগীরা নিজেদের জীবন বিসর্জন দিতেও তৈরি আছে।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পুলওয়ামা ও পাঠানকোট হামলার মাস্টারমাইন্ড মাসুদ আজহারকে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা কাউন্সিল। অথচ ইমরান খান এখনও পর্যন্ত মাসুদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি।