যে দেশ নিজেরা সবসময় জঙ্গি হামলা করে, এবার তাদের ওপরই হল ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। হ্যাঁ, দেশটি ওয়াঘা সীমান্তের ওপারে, নাম পাকিস্তান। জঙ্গি হামলায় কেঁপে ওঠে ইমরান খানের দেশ। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে করাচির পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে। একেবারে নিরাপত্তায় মোড়া করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে এমন হামলায় টলে গিয়েছে গোটা দেশ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ওই হামলায় নিহত হয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে ২ পুলিশ কর্মীও রয়েছেন।
জিও নিউজ সূত্রে খবর, চারজন সশস্ত্র জঙ্গি সোমবার সকালে সদাব্যস্ত পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে হামলা করে। চারজন নিরাপত্তারক্ষী এবং পুলিশের এক সাব ইন্সপেকটরকে গুলি করে হত্যা করে। তারপর তাদের প্রাণ যায় পালটা গুলিতে। ভবনের গেটে প্রথমে তারা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। তারপর গুলি চালাতে চালাতে ভেতরে ঢুকে পড়ে। প্রতিরোধের সুযোগই পায়নি নিরাপত্তারক্ষীরা। এক্সচেঞ্জ ভবনের ভেতরে লুকিয়ে পড়ে জঙ্গিরা। একচেঞ্জ ভবনে রয়েছে একাধিক বেসরকারি ব্যাঙ্ক। ফলে অনেকেই আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, চারজন জঙ্গিই প্রাণ হারিয়েছে। জঙ্গিদের আক্রমণে পাঁচজনের মৃত্যু হওয়া ছাড়াও পাঁচজন জখম হয়েছেন। পুলিশ গোটা জায়গাটা ঘিরে রেখেছে। ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে এই হামলার দায় নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাক স্টক এক্সচেঞ্জের ডিরেক্টর ফারুক খান জানান, করোনা সতর্কতা থাকার দরুন অন্যান্য সময়ের তুলনায় এক্সচেঞ্জে লোকসংখ্যা কম ছিল। হামলাকারী জঙ্গিদের মধ্যে একজনই মূল ভবনে ঢুকতে পেরেছে। বাকিদের বাইরেই আটকে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা।
স্টক এক্সচেঞ্জের ঠিক বাইরে একটি পরিত্যক্ত গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড গাড়িটির দায়িত্ব নিয়েছে। পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ করাচি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এই অঞ্চলেই পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, হামলাকারী জঙ্গিদের প্রত্যেকের পিঠে ছিল ব্যাকপ্যাক, হাতে অত্যাধুনিক বন্দুক। ঘটনাস্থল থেকে একে–৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে।