দেশ ব্রেকিং নিউজ

অভিনন্দন মুক্তির নেপথ্যে যুদ্ধ–ভয়

হাঁটে হাঁড়ি ভেঙে গেল পাকিস্তানের। ২০১৯ সালের মার্চে পাকিস্তানের হাতে বন্দি হওয়া ভারতের উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন ‘শান্তি আর সৌজন্যের’ প্রতীক হিসেবেই ছাড়া হচ্ছে তাঁকে। এবার এক পাক সাংসদ সংসদে কবুল করলেন যে, ইমরান খান সরকার যে পাক মাটিতে ধরা পড়া ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে হঠাৎ করে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার নেপথ্যে রয়েছে ভারত আক্রমণ করার ভয়।
পাকিস্তানের বিরোধী দলের এক সাংসদের দাবি, ভারতের হামলার ভয়েই অভিনন্দনকে ছেড়ে দেয় পাকিস্তান। এমনকী ভারত হামলা করতে পারে, এটা আন্দাজ করে সেনাপ্রধান ভয়ে কাঁপছিলেন। সেদিনের ঘটনা সবাই জানে। সময়টা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি। ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়া পাক এয়ারক্র্যাফ্ট এফ–১৬–কে গুলি করে নামিয়েছিলেন অভিনন্দন বর্তমান। বায়ুযুদ্ধ চলাকালীন অভিনন্দনের এয়ারক্র্যাফ্টও পাক–সীমানায় ঢুকে পড়ে। পাক সেনারা গুলি করে নামায় তাঁকে এবং বন্দি করে।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ নেতা আয়াজ সাদিক বলেন, ‘‌অভিনন্দন বন্দি হওয়ার পর পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বলেছিলেন, অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি না দিলে ভারত পাকিস্তানের উপর হামলা করবে। ইমরান বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চাননি। মিটিং যেখানে হচ্ছিল, সেই ঘরে চিফ আর্মি জেনারেল জাভেদ বাজওয়া ঘামতে–ঘামতে ঢুকেছিলেন। তাঁর হাঁটু কাঁপছিল। বিদেশমন্ত্রী নাকি বলেছিলেন, আল্লার দোহাই, অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়া হোক। বিরোধীরা সব ইস্যুতেই সরকারকে সমর্থন করেছে। কিন্তু যুদ্ধ লেগে গেলে তারা আর সরকারকে সমর্থন করতে পারবে না। সব মিলিয়েই সেদিন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ আবহ খুবই জটিল হয়ে পড়েছিল।