আন্তর্জাতিক

ভাড়া দিচ্ছে পাক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন

দেশের আর্থিক মন্দা চরমে পৌঁছেছে। বিকল্প কোনও রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ভাড়া দিতে বাধ্য হয়েছে ইমরান খানের সরকার। এখন পাক মিডিয়াও সরকারের তুলোধনা করছে ব্যাপকভাবে। ২০১৮ সালে পাক সরকার ঘোষণা করেছিল, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এডুকেশন ইন্সটিটিউট হবে। ২০১৯ সালে পাক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বিয়ে বাড়ি হিসাবে ভাড়া দেওয়া হয়। তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়।
এই বিষয়ে পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী শফকত মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনটির রক্ষণাবেক্ষণের বার্ষিক খরচ ৪৭ লক্ষ টাকা। তাই সেই বাসভবনটিকে এডুকেশন ইন্সটিটিউট হিসাবে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওযা হয়েছিল। পাকিস্তানের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অনেকাংশেই চিনের উপর নির্ভরশীল ইমরান খানের সরকার। তার উপর করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউনে পাক অর্থনীতির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার জেরে প্রায় দেউলিয়া অবস্থা পাক সরকারের।
উল্লেখ্য, শুধুমাত্র ইমরান খান নন, পাকিস্তানের গভর্নরদের বাসভবনও ভাড়ায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে গভর্নরদের বাসভবনও ফাঁকা করা হয়েছে বলে খবর। এখন অন্য দেশ থেকে ধার করার অবস্থাও নেই পাকিস্তানের। কারণ দেনার দায়ে জর্জরিত। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও মাত্রা ছাড়িয়েছে। সবমিলিয়ে কঠিন আর্থিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ইমরান সরকার।