দেশ লিড নিউজ

কাবুলে পাক বিদেশমন্ত্রী, নয়া সমীকরণ

পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং তালিবানের যোগসাজশ এবার প্রকাশ্যে! ১৯৯৯ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান ছিনতাইয়ের স্মৃতি উস্কে দু’পক্ষের বৈঠক হল সেই কান্দাহারে। রাতেই সামনে এসেছে তার ছবি। আফগানিস্তানে তালিবানি সরকার গঠনে সক্রিয় ভূমিকাও নিচ্ছে পাকিস্তান। রবিবার কাবুলে গিয়েছেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণাও করেছে ইমরান খান সরকার। ইসলামাবাদের সাফ বক্তব্য, পারস্পরিক ‘স্বার্থের টান’-এ এমন উদ্যোগ।

কিন্তু আফগানিস্তানে তাদের শাসন কায়েমে সরাসরি নাক গলাতে চাইছে ইসলামাবাদ। কেন? ইমরান সরকারের এই অতি সক্রিয়তায় নেপথ্য কারিগর চিন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজনে তালিবানের সঙ্গে কাজ করতে তাঁর সরকারের কোনও আপত্তি নেই। আফগানিস্তান ইস্যুতে মঙ্গলবার জি–৭ গোষ্ঠীর বৈঠক ডেকেছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে সেখানে আলোচনা হবে। রাশিয়া তো অনেক আগে থেকেই তালিবানকে সমর্থনের বার্তা দিয়ে রেখেছে। ফলে ইসলামাবাদ এতদিন জল মাপছিল, তারা এবার সরাসরি ঝাঁপিয়েছে পড়শি দেশের সরকার গঠনে। লক্ষ্য একটাই, ভারতকে প্রবল চাপে রাখা।

পরিস্থিতি দেখতে কাবুলে গিয়েছিলেন তালিবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদর কাবুলে গিয়েছিলেন। তার আগে কান্দাহারে বরাদরের সঙ্গে দেখা করেন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান হামিদ ফৈয়াজ। দু’জনকে একসঙ্গে নামাজ পড়তেও দেখা গিয়েছে। একই ফ্রেমে দু’জনের ছবি রবিবার প্রকাশ করে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। তাতেই শোরগোল পড়ে যায় বিশ্বে। এই বৈঠকের হাতে গরম প্রমাণ পেয়েও অবশ্য মুখ খোলেনি নয়াদিল্লি।

আফগানিস্তানে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত মহম্মদ সাদিক ট্যুইটারে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে এসেছিল তালিবানের প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে ইমরান সরকারের। তারপরই বিদেশমন্ত্রী কুরেশির কাবুল সফরের ঘোষণা হয়। কুরেশি নিজেও বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে সরকার গঠনে তালিবানকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান।’