আন্তর্জাতিক

হাফিজ সৈয়দকে সাড়ে ১৫ বছরের জেল

জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সাহায্যের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সৈয়দকে ১৫ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল পাক আদালত। আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা এফএটিএফের রোষানল থেকে বাঁচতে মরিয়া হয়ে পড়েছে তারা। আর এই কারণে বারবার বিচারের নামে প্রহসন করছে! তার প্রমাণ পাওয়া মিলল। ফের লস্কর–ই–তৈবা প্রধান হাফিজ সৈয়দকে ১৫ বছরের জন্য জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিল পাকিস্তানের একটি আদালত।
লাহোরের এক আদালত ওই সাজা ঘোষণা করে। এই জঙ্গি প্রধানকে ২ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এর আগে কয়েকটি মামলায় ইতিমধ্যেই ২১ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে সৈয়দের। ওই সাজা যোগ করলে সব মিলিয়ে মোট ৩৬ বছর জেলে থাকতে হবে সৈয়দকে। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা আদালত কক্ষের মধ্যে সমস্ত অভিযুক্তের উপস্থিতিতে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপুঞ্জে ঘোষিত জঙ্গি হাফিজ সৈয়দকে গত বছর ১৭ জুলাই গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান পুলিশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দের মাথার দাম ১ কোটি ডলার ঘোষণা করেছে। লাহোরের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত লস্কর–ই–তৈবা ওরফে জামাত–উদ–দাওয়ার প্রধান হাফিজ সৈয়দ–সহ পাঁচ নেতাকে সন্ত্রাসে আর্থিক সাহায্যের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাদের প্রত্যেককে সাড়ে ১৫ বছরের জেলে সাজা দিয়েছেন বিচারক। হাফিজ ছাড়া বাকিরা হল, জামাত–উদ–দাওয়ার মুখপাত্র ইয়ায়া মুজাহিদ, জাফর ইকবাল, হাফিজ আবদুস সালাম এবং মহম্মদ আসরাফ। এই মামলার আরেক আসামি হাফিজ সৈয়দের শ্যালক আবদুল রহমান মাক্কিকে ৬ মাসের জেলের সাজা দিয়েছে আদালত। জরিমানা করা হয়েছে ২ লক্ষ পাকিস্তানি টাকাও।
লাহোরের আদালত লাখপত জেলে রয়েছেন হাফিজ সৈয়দ। সেখানে সৈয়দ রয়েছে ভিআইপি’‌র মর্যাদায়। গত নভেম্বর মাসেও সন্ত্রাসবাদের আর্থিক মদতের দুটি ভিন্ন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল লস্কর প্রধান। এর জেরে তাকে পাঁচ বছর করে মোট ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়। তারপর থেকে লাহোরের লাখপত জেলেই থাকার কথা হাফিজ সৈয়দের।