দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর বসিরহাটের ভারত বাংলাদেশের ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে আমদানি রপ্তানি সংস্থা এবং ওপার বাংলার ভোমরা সীমান্তের আমদানি রপ্তানি সংস্থার বর্ষপূর্তি উদযাপনে ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন আলোর দিশা দেখছেন সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে চালক ও শ্রমিকরা। বসিরহাট সীমান্তের আমদানি রপ্তানি সংস্থার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের ভোমরা আমদানি রপ্তানি সংস্থার সম্পাদক ও সভাপতি।
তাদের কথায়, পদ্মা সেতু হওয়ায় ঘোজাডাঙ্গার সীমান্ত থেকে ঢাকা দূরত্ব প্রায় ২২০ কিলোমিটার কমে গেল। যার ফলে যেখানে প্রতিদিন সাড়ে ২০০ থেকে ২৫০ পন্যবাহী ট্রাক ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করত, সেখানে আরো দুই থেকে তিনগুণ বাড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী মহলের কর্তারা।
অপরদিকে বাংলাদেশের ভোমরা আমদানি রপ্তানি সংস্থার সভাপতি কাজী নওশাদ বিল্লা রাজু সহ ১০ জনের প্রতিনিধি দল এ দিন ভারতে ভোজাডাঙ্গা আমদানি রপ্তানি সংস্থার বর্ষপূর্তিতে যোগদান করে বলেন, আগামী দিনে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ইলিশ মাছও ভারতে পাঠানো হবে এর জন্য যে পরিকাঠামো দরকার সেই পরিকাঠামোর বাস্তবায়ন হলেই সেই পরিষেবা শুরু হবে বলে আশাবাদী দুই দেশের ব্যবসায়ীদের ।
অন্যদিকে বাংলাদেশের নতুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পণ্যবাহী গাড়ির আনাগোনা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি আগামী দিন এই ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে যাতে পদ্মার ইলিশ এদেশে ঢোকে তার সব রকম চেষ্টা চালানো হবে। এই সীমান্তে কিছু পরিকাঠামের অভাব রয়েছে সেইটা তৈরি হলে আগামী দিনে ব্যবসার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন তারা।