পদ্মা নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ চলছে জরুরি–ভিত্তিতে। শনিবার সেতুর শেষ স্প্যানটি বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। এই নিয়ে পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যানের সবগুলিই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালে সেই কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে জনতার জন্য খুলে দেওয়া হবে এই সেতু। প্রথম দিন থেকেই সেখানে গাড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগও চালু হবে। পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসে এই কথা জানান রেলমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘রাজধানী ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ৪৬ শতাংশ রেলের কাজ ও জাজিরা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সেতুর ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সড়কপথ ও রেলপথের কাজ চলছে। এই সেতু না থাকায় এতদিন মানুষকে প্রচুর সমস্যর মুখে পড়ত। পদ্মার প্রচণ্ড স্রোতের ফলে এবং কুয়াশার ফলে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়তে হত সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এই সেতু একবার তৈরি হয়ে গেলে আর কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না কাউকে। পদ্মার উপর এই সেতু তৈরি হলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রায় ২ শতাংশ বাড়বে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর এই সেতুটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে লৌহজং, মুন্সিগঞ্জের সঙ্গে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ–পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর–পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প।