কপিল সিব্বলের পর এবার বেসুরো গাইলেন পি চিদম্বরম। আর তাতেই কংগ্রেসের অন্দরে তৈরি হল ব্যাপক গুঞ্জন। বিহার–সহ বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচনে দলের দৈন্যদশা নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর সাফ কথা, আমাদের মেনে নিতে হবে যে দলে ক্ষয় ধরেছে। কোনও কোনও রাজ্যে আমাদের সংগঠন বলে কিছু নেই। আর থাকলেও তা একেবারেই নগণ্য। চিদম্বরমের এই মন্তব্য দলের অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। কিন্তু এটাই বাস্তব সত্য। প্রকাশ্যে প্রথমসারির নেতারা দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে শুরু করায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, কপিল সিব্বল ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে দলের শীর্ষনেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। যার জেরে প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে দলের অন্দরের কোন্দল। আর সেই কোন্দলে এবার ঘৃতাহুতি দিলেন চিদম্বরম। সুতরাং এই পরিস্থিতির কিভাবে কমব্যাট ন তাঁরা এখন সেটাই দেখার বিষয়।
এদিন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বেশি চিন্তিত উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের উপনির্বাচনের ফলাফলে। এই ফলাফলগুলিতে বোঝা যাচ্ছে কংগ্রেসের হয় কোনও সাংগঠনিক শক্তিই আর অবশিষ্ট নেই, আর না হয় তা অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় সাংগঠনিক শক্তির থেকে বিহারে বেশি আসনে লড়েছে কংগ্রেস। আমাদের এমন ২৫টি আসনে লড়তে বলা হয়েছে যেগুলি গত ২০ বছর বিজেপি বা তার জোটসঙ্গীরা জিতে আসছে। কংগ্রেসের উচিত ছিল ওই ২৫ আসনে লড়াই না করে বাকি ৪৫ আসনে লড়াই করা।’
তিনি আরও বলছেন, সিপিআইএম(এল), এআইএমআইএমের মতো ছোট দলগুলি দেখিয়ে দিয়েছে, সংগঠনের জোর থাকলেই ভাল ফল করা যায়। আমাদের মেনে নিতে হবে যে কংগ্রেস ক্ষয়িষ্ণু দলে পরিণত হয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতা এবং রাজনীতির বাস্তবটা বোঝে এমন লোককে দায়িত্ব দিতে হবে। কারণ সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী না হলে, যতই সমর্থন পাওয়া যাক বিজেপিকে হারাতে পারবে না। অর্থাৎ কংগ্রেস যে উত্তরসূরি খুঁজতে গিয়ে পূর্বসূরিকে নিয়ে এসেছে তার বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন চিদম্বরম বলে মনে করা হচ্ছে।
