বিহারে ব্রজপাতের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯২। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আশঙ্কা এই মৃতের ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। তবে রেড অ্যালার্ট আগেই জারি ছিল। মৃতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে। বজ্রবিদ্যুতে জখম হয়েছেন বহু মানুষ। মৃতদের পরিবারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
বিহারের গোপালগঞ্জ জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। দেওয়াল ভেঙে পড়ে, গাছ ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষজন। আপাতত সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সরকারি একটি সূত্র জানাচ্ছে, মধুবনী ও নবাদা জেলায় ৮ জন করে মারা গিয়েছেন। ভাগলপুর–সিওয়ানে বজ্রপাতের বলি ৬ জন করে। বাঙ্কা, দ্বারভাঙা এবং পূর্ব চম্পারণ জেলায় পাঁচজন করে মারা গিয়েছেন।
প্রবল ঝড়বৃষ্টির কারণে বিহারে ৯২ জনের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুর্যোগে বাংলার মানুষ বিহারের পাশে আছে বলে এক টুইটবার্তায় জানান তিনি। এছাড়া খাগারিয়া ও ঔরঙ্গাবাদ জেলায় বজ্রপাতে ৩ জন করে মারা গিয়েছেন। জেহানাবাদ, কিষানগঞ্জ, পশ্চিম চম্পারণ, জামুই, পূর্ণিয়া, সুপাউল, কৈমুর এবং বক্সারে দু’জন করে মারা গিয়েছেন। সরান, শিবহর, সমস্তিপুর, মাধেপুরা ও সীতামারিতে একজন করে মারা গিয়েছেন বলে সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগেই বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিমে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছিলেন আবহবিদরা। গত ২২ জুন ন্যাশানাল ডিস্যাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বিহারে অতিবৃষ্টির ফলে বন্যার বিষয়ে সতর্ক করেছিল। গোপালগঞ্জের মহকুমাশাসক উপেন্দ্র পাল জানান, চাষের জমিতে কাজ করার সময় বাজ পড়লে, গোপালগঞ্জের বিভিন্ন ব্লকে ১৩ জন মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে বরাউলি ও উচকাগাঁও ব্লকে চার জন করে মারা গিয়েছেন। গোপালগঞ্জ ব্লকে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। মাঝা, কাতেয়া এবং বিজয় ব্লকে একজন করে মারা গিয়েছেন।
দ্বারভাঙার জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক পুষ্পেষ কুমার জানান, দ্বারভাঙায় তিন শিশু-সহ পাঁচ জন মারা গিয়েছেন। জখম হয়েছেন আরও দু’জন। তার মধ্যে হনুমান নগর ব্লকে বাজ পড়ে দুই বালক মারা গিয়েছে। বাহাদুর ব্লকে এক কিশোরী, বিরাউল থানার অন্তর্গত এক গ্রামে একজন মহিলা এবং বহেরি থানা এলাকায় আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।