করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাংসদ মন্ত্রীদের বেতনে কোপ বসিয়েছে কেন্দ্র। আগামী একবছরের জন্য সাংসদরা ৩০ শতাংশ কম বেতন পাবেন। কোপ বসানো হয়েছে সাংসদদের নিজস্ব এলাকা উন্নয়ন তহবিলেও। আগামী দু’বছর এলাকার উন্নয়ন খাতে কোনও অর্থ পাবেন না সাংসদরা। করোনা মোকাবিলায় সেই টাকা নিজের মতো করেই খরচ করবে সরকার। এখানেই আপত্তি বিরোধীদের।
তাঁরা দাবি করছেন, করোনা রুখতে সাংসদদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত। প্রয়োজনে আরও কমানো যেতে পারে বেতন। কিন্তু এমপি–ল্যাডের টাকা এলাকার মানুষের নৈতিক অধিকার। সাধারণ মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘আমি সাংসদ তহবিলের টাকা বাতিল করার বিরোধিতা করছি। এটা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক।’ অধীর চৌধুরি বলেন, ‘সরকারের এই সিদ্ধান্তেই বোঝা যাচ্ছে দেশে আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে। আপনারা চাইলে আমাদের বেতন আরও কেটে নিতে পারেন। কিন্তু এমপি–ল্যাড বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন।’
সিপিএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘এই সরকার অনেকদিন ধরেই তথ্য লুকিয়ে চলছে। করোনা সংক্রমণের আগেই অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়েছিল। সাংসদ তহবিলের টাকা স্থায়ী তহবিলে পাঠানোর সিদ্ধান্তেই বোঝা যাচ্ছে, গত ৬ বছর অর্থনীতি কীভাবে চলছে।’
