করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউকে গণবিপর্যয় বলে আখ্যা দিল বিরোধীরা। আর তা সামলাতে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একযোগে চিঠি দিল ১২টি বিরোধী দল। বিনামূল্যে টিকাকরণের প্রস্তাবের পাশাপাশি সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প বন্ধ করারও জোরালো দাবি জানিয়েছে তারা। সরকারি ঘোষণার পরেও টিকা কম বা না থাকার জন্য কোনও কোনও রাজ্যে ১৮–৪৫ বছরের টিকাকরণ আপাতত স্থগিত রাখতে হয়েছে। টিকা উৎপাদনে এত পরিকাঠামো থাকার পরও দেশের এই অবস্থা কেন? কেন্দ্রকে এই নিয়ে বিঁধে চলেছ বিরোধীরা।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে মোট আট দফা প্রস্তাব দিয়েছেন বিরোধীরা। তাতে করোনা ঠেকানোর বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথাও জানিয়েছেন তাঁরা। সোনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরি স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলেছে দেশ, সে ব্যাপারে বহু আগেই কেন্দ্রকে সতর্ক করেছিল বিরোধীরা। অথচ কেন্দ্র সেই পরামর্শের কোনও গুরুত্বই দেয়নি। কেন্দ্রের এই মনোভাবই দেশকে আজ গণবিপর্যয়ের মুখে দাঁড় করিয়েছে।’
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে প্রথমসারির কংগ্রেস নেতা বলেছেন, গত বছর বিশ্বের সব দেশ যখন টিকা উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে, তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী করোনাকে হারিয়ে দেওয়া গিয়েছে ভেবে দেশবাসীকে হাততালি দিতে বলেছেন। এখন সম্বিৎ ফিরেছে। টিকা উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বলা হলেও তা তো আর একদিনে হবে না। এই জন্যই এখন গঙ্গা দিয়ে মৃতদেহ ভেসে যাচ্ছে। কৃষি আইন প্রত্যাহার, গরিবদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ এবং বেকারদের প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাবও রেখেছে বিরোধীরা।
কংগ্রেস, এনসিপি, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, সিপিএম, সিপিআই, জম্মু–কাশ্মীর পিপল্স আলায়ান্স, শিবসেনা, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, জেডিএস, ডিএমকে এবং আরজেডি নেতারা এই চিঠিতে সই করলেও আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতীর স্বাক্ষর এই চিঠিতে নেই।
