বিতর্কিত কৃষি বিলকে নিয়ে এখন তুঙ্গে উঠেছে সরকার–বিরোধীদের লড়াই। রাজধানী দিল্লি জুড়ে এখন এটাই চর্চিত হচ্ছে সর্বত্র। তার রেশ থেকে বাদ নেই রাজ্য–রাজনীতিও। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী–রাজ্যপাল সংঘাতও নেমে এসেছে। মঙ্গলবার বিল সম্পর্কিত তিনটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আজ থেকে রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কটের ঘোষণা করেছেন বিরোধী নেতারা। তাতে সরগরম বাদল অধিবেশন।
মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হতেই বয়কটের ঘোষণা করেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ। অধিবেশন কক্ষ থেকে একযোগে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস, তৃণমূল–সহ বিরোধীরা। রাজ্যসভার পর এবার লোকসভাতেও বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিল বিরোধীরা। এই বিষয়ে লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য–সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলেও জানান রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
এদিন রাজ্যসভা ফাঁকা থাকলেও সংসদের নিম্নকক্ষে বিরোধী হই–হট্টগোল উচ্চগ্রামে পৌঁছেছিল। যার জেরে দুপুর ৩টের পর ১ ঘণ্টার জন্য লোকসভার অধিবেশন স্থগিত রাখা হয়। ৪টের সময় লোকসভার অধিবেশন শুরু হতেই ফের হই–হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা। অধীর চৌধুরী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, রাজ্যসভা–লোকসভা যমজ ভাই। রাজ্যসভায় যা হয়েছে, লোকসভায় তার প্রভাব পড়বেই। স্পিকার রাজ্যসভার বিষয় নিম্নকক্ষে আলোচনায় আপত্তি জানালে বিরোধীদের পক্ষ থেকে বয়কটের সিদ্ধান্ত জানান লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ৮ সাংসদের মধ্যে ৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে ডেরেক আজ জানান, আমাদের নেত্রী বহু দশক ধরে কৃষকের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন। এই বিল কৃষক বিরোধী। নাগরিক বিরোধী। সংসদের ভেতরে ও বাইরে, আমরা এই লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়ব।বিরোধী ঐক্যের ডাক দিয়ে আজ একদিনের অনশন পালন করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
ডেরেক আজ জানান, কৃষি বিলের বিরোধিতায় আগামী পদক্ষেপ স্থির করতে বুধবার বেলা ১১টায় বৈঠকে বসছে কংগ্রেস, তৃণমূল–সহ বিরোধীরা। কৃষি বিলে সই না করতে আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে সময় চেয়েছে ১৭টি বিরোধী দল। যদিও এখনও কোনও বার্তা আসেনি। মোট তিনটি দাবিতে সংসদের অধিবেশন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা।
