৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংশোধনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফে। কিন্তু তার আগেই কী ভাবে ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন? এ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল বিরোধী দলগুলি।
বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন আগামী ১৯ নভেম্বর কলকাতা পুরসভার ভোটের দিন নির্ধারণ করেছে। প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন তাঁদের স্বাধীন ও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
নিয়মানুযায়ী ভোট ঘোষণা হলে কোর্টের হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই বিকাশরঞ্জন মনে করেন, সব প্রতিবাদ কাগজে কলমে হয় না। তাই এ নিয়ে পথে নামা দরকার।
সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণায় ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। ভোট লুঠের অভিযোগ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
পাশাপাশি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের নির্দেশে চলে। তাই তারা এমনটাই স্বাভাবিক। অপরদিকে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করে তৃণমূল সাংসদ শান্তানু সেন বলেন, দিলীপ ঘোষ প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রের নির্দেশে চলছে।
উল্লেখ্য, একইসঙ্গে কলকাতা ও হাওড়ায় ভোট করাতে চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করানোর দাবিতে আদালতে যায় বিজেপি। সেখানেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, রাজ্যে বহু দফায় পুরভোট চাইছে তারা। কমিশনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী এই মুহূর্তে ১১২টি পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে। একসঙ্গে এই ১১২ পুরসভার ভোট করানো সম্ভব নয়। কারণ সব ভোট একসঙ্গে করার মতো ইভিএম মজুত নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে। তাই একাধিক দফায় পুরভোট করতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।