এখন সবচেয়ে বড় খবর চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। কারণ বাংলাদেশে হঠাৎ পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কতিপয় আমদানিকারক পেঁয়াজ বাজারে না ছেড়ে বেশি মুনাফার আশায় গুদামজাত করেন। সেই পেঁয়াজে এখন পচন ধরেছে। এমনকী অঙ্কুর গজিয়ে গিয়েছে। তাই এখন বাজারে নামমাত্র মূল্যেও এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না।
চলতি বছরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে রপ্তানি বন্ধ করার কথা ভারত ঘোষণা করার পরেই ৪০ টাকা কেজির পেঁয়াজ এক লাফে দ্বিগুণ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে পেঁয়াজ সেঞ্চুরি হাঁকায়। অধিক মুনাফার জন্য পেঁয়াজ গুদামে রেখে দেন। ভারতের বাজারে প্রতি কিলো পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশে ১২০ টাকা কেজির পেঁয়াজ বর্তমানে ৭০ টাকায় নেমে এসেছে।
পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের মাধ্যমে খোলাবাজারে ৩৫ টাকা কেজি ধরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা হয়। এখন পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করে। অধিক মুনাফার লোভে পেঁয়াজ বিক্রি করেননি এই গুদামবাজরা! পেঁয়াজের বাজার যখন মোটামুটি স্বাভাবিক এবং স্থানীয়ভাবে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে, সেই মুহূর্তে মাথায় বাজ পড়েছে মুনাখোরদের।
এখন খাতুনগঞ্জের চিত্রটা একেবারে উলটো। আড়তদারদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করতে উলটে আমদানিকারীরা ধর্না দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের ধর্নাকে আমলেই দিচ্ছেন না খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ দু’চার কথা শুনিয়ে দিচ্ছেন মুনাফাখোর গুদামবাজদের। ব্যবসায়ী আবদুস সামাদ বাবু বলেন, ‘পেঁয়াজ কেলেঙ্কারি কম হয়নি। প্রচুর পেঁয়াজ মজুদ থাকা সত্ত্বেও আমদানিকারকরা সাধারণ ভোক্তাদের ভুগিয়ে ছাড়েন। তাঁরা সিন্ডিকেট করে বাজার থেকে হাজারো কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।’
