পুজোর মধ্যেই পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখে জল বাঙালির। এখনই পেঁয়াজের দাম চলে গিয়েছে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। ১০০ টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর এই দামের কারণে কেনার ক্ষমতা নেই অনেকের। তাই চুরির পথই বেছে নিল ক্রেতা। ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরে। ভেবেছিলেন লুকিয়ে চুড়িয়ে কয়েকটা পেঁয়াজ ব্যাগে ভরবেন, তবে তা হল না। ধরা পড়লেন বিক্রেতার কাছে। ক্রয়ক্ষমতা না থাকা ক্রেতার তাই মুখ লজ্জায় লাল।
দামের জ্বালায় পেঁয়াজ কেনার সামর্থ্য নেই। তাই লুকিয়েই বেশ কিছু পেঁয়াজ নিজের ব্যাগে ভরে নিয়েছিলেন এক মহিলা। হুগলির চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর বাজারের এই ঘটনা বাস্তবে বর্তমানে অগ্নিমূল্য বাজারেরই যেন প্রতিফলন। মহিলা সবার অলক্ষ্যেই পেঁয়াজ তুলে ব্যাগে ভরতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ধরা পড়ে গেলেন। এই ঘটনায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি যে কোনদিকে যাবে তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছে মধ্যবিত্তরা। পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দামও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চুঁচুড়ার বীরেন্দ্রনগর বাজারে এলাকার প্রায় ৮০% মানুষ বাজার করতে আসেন। এই বাজারে সব থেকে কম দামে মেলে শাক–সবজি–আনাজপাতি। তবে সেখানেও আগুন দাম পেঁয়াজের। মরশুমে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেঁয়াজ। ১০০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। বিক্রেতারা বলছেন বিক্রিও তেমন নেই। জেলায় জেলায় পেঁয়াজের আগুন দামে কপালে ভাঁজ সকলেরই।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন পেঁয়াজ ঢুকতে এখনও ঢের বাকি। আরও অন্তত এক মাস। অথচ পুরনো স্টকও শেষ হওয়ার মুখে। ফলে চাহিদা মতো যোগান নেই। স্বাভাবিকভাবেই দাম চড়তে শুরু করেছে। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনাতেই অগ্নিমূল্য হচ্ছে পেঁয়াজ। এ বছর বর্ষাকালের পরেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে জমিতে থাকা ফসলের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। আর এতে শুধু মহারাষ্ট্র নয়, অকাল বর্ষণে কর্নাটকের মতো রাজ্যের কৃষকদেরও মাথায় হাত। দক্ষিণের এই রাজ্যেও জমিতেই পচে গিয়েছে পেঁয়াজ গাছ।
