বাংলাদেশ

পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যে নাভিশ্বাস পদ্মাপারের মধ্যবিত্তদের

আবার বাংলাদেশ জুড়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ল। বাংলাদেশে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকায় হয়েছে। বাংলাদেশে পেঁয়াজের হঠাৎ করে মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে মধ্যবিত্তদের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে পদ্মাপারে।
জানা গিয়েছে, আমদানির চেয়ে বিক্রিতে পেঁয়াজের মূল্য বেশি রাখায় রবিবার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বেশ কয়েকটি পেঁয়াজ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই কারণে সোমবার খাতুনগঞ্জের সব পেঁয়াজের আড়ত বন্ধ করে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আর ভারতে বৃষ্টিতে মজুত থাকা পেঁয়াজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেখানে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় দাম বেড়েছে বাংলাদেশেও।
ঢাকায় সোমবার খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি দরে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫—৫০ টাকা দরে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ৩০ টাকা থেকে বেড়ে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এই ভয়ে এই বছর পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করায় আরও অনেককেই বেশি করে পেঁয়াজ কিনতে দেখা গিয়েছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশে আমদানি করা পেঁয়াজের ৯৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে। তবে ভারত থেকে আমদানিতে সমস্যা হলে অন্য দেশ থেকেও আমদানি করা হয়। সরকারি হিসেবে বাংলাদেশে বর্তমানে ২৩ লক্ষ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কিন্তু পেঁয়াজ ঘরে তোলার সময় প্রায় পাঁচ লাখ টন নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ ১৯ লাখ টন পেঁয়াজ বাজারে থাকে। বিদেশ থেকে আমদানি হয় ১১ লাখ টন। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রয়োজন। ভারতের বাজারেও পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ থেকে ২৪ টাকা বেড়েছে।