বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। দেশে নতুন করে ২০৯ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এই নিয়ে আক্রান্ত হাজার ছাড়াল। এখন আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৩১ জন। আর নতুন ৯ জনের মৃত্যুর ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই তথ্য তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ ১৯০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ৮ মার্চ দেশে নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
করোনার জেরে গৃহবন্দি পয়লা বৈশাখ পালন করল বাংলাদেশের মানুষ। কোথাও ছিল না কোনও অনুষ্ঠান। রাস্তায় বের হননি কেউ। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম হল না ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। আর ১৯৮৯ সালে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রারও ৩১ বছরে এসে ছেদ পড়ল।
পরিস্থিতি বিবেচনায় দু’দফা বাড়িয়ে সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সকলকে বাড়িতে থাকার অনুরোধ করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার পর বাড়ির বাইরে বেরনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। দোকানপাট সকাল ৮ থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত খোলা। ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি পরিষেবা বন্ধের আওতার বাইরে।