অবশেষে তিনদিন পর কেরলে হাতি হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান রাজ্যের বনমন্ত্রী কে রাজু। হাতি হত্যার ঘটনায় কেউ ছাড় পাবেন না বলে বৃহস্পতিবারই আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। আর জানিয়ে ছিলেন যে তিন জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার পরেই গ্রেপ্তারির খবর দিলেন বনমন্ত্রী রাজু।
তবে ইচ্ছাকৃতভাবে হাতিটাকে হত্যা করা হয়নি বলেই মনে করছেন বনকর্তারা। কেরলের মল্লপুরম জেলায় বুনো শুয়োরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে কোনও কোনও জায়গায় এই ধরনের অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে স্থানীয়রা।
হাতি হত্যার সঙ্গে এই ঘটনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন বনকর্তারা। তবে কোথা থেকে হাতিটি ওই বাজি ভর্তি আনারস খেয়ে এসেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বনকর্তাদের যুক্তি, পূর্ণবয়স্ক একটি হাতি দিনে প্রায় ১০০ কিমি পর্যন্ত হাঁটতে পারে। তবে এটা সম্ভব অন্য কোনও জায়গা থেকে হাতিটি ওই বাজি ভর্তি আনারস খেয়ে মান্নারকড় জঙ্গলে এসেছিল। ওই এলাকায় বুনো শুয়োরের উপদ্রব বেশি। তাদের মরণফাঁদ হিসেবে ফলের মধ্যে বাজি ভরে রাখা হয়। সেই আনারস হয়তো হাতিটি ভুল করে খেয়ে ফেলতে পারে। এমন নানা জল্পনা–কল্পনা এখন করা হচ্ছে।