চতুর্থবারের জন্য নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন কে পি শর্মা অলি। সোমবার তিনি এই শপথ গ্রহণ করেন। তার কমিউনিস্ট পার্টি মধ্য বামপন্থী নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করে ক্ষমতায় এলে।
৭২ বছর বয়সী অলি পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল-ইউনিফাইড মার্কসবাদী লেনিনবাদীর (সিপিএন-ইউএমএল) প্রধান।
এদিন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল শপথবাক্য পাঠ করানোর সময় অলি বলেন, “আমি, কে পি শর্মা অলি, দেশ ও জনগণের নামে প্রতিজ্ঞা করছি, আমি সংবিধানের প্রতি বিশ্বস্ত থাকব…এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করব।”
প্রায় তিন কোটি জনসংখ্যার দেশ নেপাল। অলি অতীতে ভারত ও চিন উভয় দেশের সাথেই একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন। তবে পরে তিনি নয়াদিল্লির ওপর তার দেশের নির্ভরতা কমাতে বেইজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন।
শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অলিকে অভিনন্দন জানিয়ে সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারত দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের গভীর বন্ধনকে আরো শক্তিশালী করতে চায়।”
প্রসঙ্গত, অলি ২০১৫ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে বিরল সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার নিয়ে পুনর্নির্বাচিত হন এবং তারপর ২০২১ সালে সংক্ষিপ্তভাবে পুনর্নিযুক্ত হন।
অলির পূর্বসূরি জোট সরকারের মিত্র পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড কার্যভার গ্রহণের মাত্র ১৮ মাসের মাথায় শুক্রবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান। অলির দল সমর্থন প্রত্যাহার করার পর তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। অলি তার পরিবর্তে নেপালি কংগ্রেসের শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে চুক্তি করেন। নেপালের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৭ সাল নাগাদ।
