মারণ ভাইরাসকে আটকানোর সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবুও স্বচ্ছন্দে থাবা বসিয়েছে চলেছে করোনা। শুক্রবারই দেশের দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৩ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। তবে আজ একদিনে সামান্য কমেছে দেশের করোনা সংক্রমণের সংখ্যা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত একদিনে দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭০৪ জন। কিন্তু নতুন প্রজাতি ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। এই মুহূর্তে তা ১০ হাজার ৫০ জন। একদিনে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮৮জন।
তথ্য অনুযায়ী, একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৭৮ জন। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২১ লক্ষ ১৩ হাজার ৩৬৫।
পরিসংখ্যান বলছে, সংক্রমণের তালিকার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তবুও মহারাষ্ট্রে স্কুল খোলার তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার৷ আগামী সপ্তাহ থেকেই মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের সব স্কুল খুলে যাবে বলে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী৷ প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও৷ তারপরই রয়েছে কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু ও গুজরাট।
এই মুহূর্তে দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সারা দেশের মোট আক্রান্তের তুলনায় রাজধানীর অবস্থা অনেকটাই ভাল৷ তবে সপ্তাহান্তে কার্ফু তুলে নেওয়ার ভাবনা থাকলেও, বাকি বিধিনিষেধ বহাল থাকছেই৷
ইতিমধ্যেই করোনারি বুস্টার ডোজ শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে বুস্টার ডোজ জরুরি৷ গবেষকদের মতে তিনটি ডোজ হলে তবেই টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে বলা যাবে৷ তবে তৃতীয় ঢেউ থেকে প্রায় মুক্তই শিশুরা।