Prime Minister Oli's government recently passed a new map of the country in parliament. There they have given space to three areas of India. This time they also demanded an area of ​​Bihar. The Bihar Water Resources Department was working to build a dam in the East Champaran district of Bihar on the Nepal border. Nepal has stopped that work. As a result, new border problems have arisen. They claim that the area falls in the territory of Nepal.
আন্তর্জাতিক

ফের নেপালের মানচিত্রে ভারতীয় ভূখণ্ড!‌

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতকে তিনদিক দিয়ে বিপর্যস্ত করা হচ্ছে। এক, লাদাখ সীমান্তে চিন–ভারত সম্মুখসমরে। দুই, লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার মধ্যেই আরও এক সীমান্ত সমস্যা তৈরি করল নেপাল। সম্প্রতি দেশের নতুন মানচিত্র পার্লামেন্টে পাশ করিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ওলি’‌র সরকার। সেখানে তারা স্থান দিয়েছে ভারতের তিনটি এলাকা। এবার তারা আরও দাবি করল বিহারের এক অঞ্চল। তিন, এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি ঢুকিয়ে দিতে লাগাতার সংঘর্ষ করে চলেছে পাকিস্তান।
জানা গিয়েছে, নেপাল সীমান্তে বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলায় বাঁধ বাঁধার কাজ করছিল বিহারের জলসম্পদ দপ্তর। সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে নেপাল। ফলে নতুন করে সীমান্ত সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি, ওই এলাকা নেপালের ভূখণ্ডে পড়ে। বিহার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লালবাকি নদীতে বাঁধ বাঁধার কাজ জোর করে থামিয়ে দিয়েছে নেপাল সরকার। হঠাৎ করে তারা কাজে বাধা দিয়েছে। এত সাহস তারা চিনের কাছে থেকে পাচ্ছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রের খবর, বিহার সরকার নেপালের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতে কান দেয়নি নেপাল। ফলে বিহার সরকার পুরো বিষয়টি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং দিল্লিতে নেপাল দূতাবাসে। যদিও তার পরও কাজ হয়নি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব এক বিবৃতিতে জানান, আমরা লক্ষ করেছি নেপালের সংসদে মানচিত্র বদলের জন্য বিল পাশ হয়েছে। ওই মানচিত্রে ভারতের অংশ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের নতুন মানচিত্রে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরাকে স্থান দিয়েছে নেপাল সরকার। ভারতের আপত্তিতে তারা কান দেয়নি। ওই মানচিত্র নেপালের সংসদে পাশও হয়েছে। গত ১৩ জুন নেপালের সংসদের নিম্নকক্ষে নতুন মানচিত্রটি পাশ হয়। তখনই দিল্লির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এভাবে দেশের সীমানা বাড়িয়ে নেওয়া ভারত ভালভাবে নিচ্ছে না।