কৃষি–বিল নিয়ে সমস্যা মিটছে না। শাসক–বিরোধী তরজা এখনও অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করে এবার কৃষি বিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করল বিরোধীরা। আর ততক্ষণে নয় নয় করে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হয়েছে বিরোধী–শূন্য কক্ষে, সরকার পক্ষের মাত্র কয়েকজন সাংসদের বক্তব্য দিয়ে৷
বিরোধীরা ওই বিলে স্বাক্ষর না করতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি কোনও কথা দেননি। সুতরাং বল এখন রাষ্ট্রপতির কোর্টে।রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাত করার পর গুলাম নবি আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে বলেছি গণতন্ত্রের মন্দিরে সংবিধানকে খর্ব করা হয়েছে। সরকার একেবারে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদে কৃষি–বিল পাশ করিয়েছে। আপনি ওই বিল ফেরত পাঠান।’
আর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, দু’জন ব্যক্তি দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রকে খুন করেছে৷ তাঁদের যাবজ্জীবন সাজা হওয়া উচিত৷ ভারতীয় দণ্ডবিধিতে সংসদ ও গণতন্ত্রকে খুন করলে কোনও সাজার কথা বলা নেই৷ এই পরিস্থিতিতে দেশের জনতাই ওঁদের সাজা দেবে৷ গুজরাটের দাঙ্গা থেকে পার পেলেও এই দু’জন ব্যক্তি গণতন্ত্রকে খুন করার অপরাধ থেকে মুক্তি পাবে না৷
এদিন গুলাম নবি আজাদের কথায়, সিলেক্ট কমিটি বা স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বিলটি পাঠায়নি সরকার। ফলে রাজ্যসভায় যে বিক্ষোভ হয়েছে তার দায় সরকারের, বিরোধীদের নয়। এখন প্রশ্ন, এই বিলে কী সাক্ষর করবেন রাষ্ট্রপতি? যদি করেন তাহলে বিরোধীদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? কারণ তখন তো কৃষি–বিল আইনে পরিণত হবে। আর যদি রাষ্ট্রপতি সাক্ষর না করে তাহলে বিরোধিরা অক্সিজেন পাবে। সুতরাং বল এখন রাষ্ট্রপতির কোর্টে।