পুজোর পর রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, ভাবলেই চমকে ওঠার জোগাড় হচ্ছে। কারণ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সোমবার সকালের রিপোর্টে অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫৫,৭২২টি পজিটিভ কেস ধরা পড়েছে। করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫৭৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরেই আবার বাংলা। মহারাষ্ট্রে ১৫০ জন মারা গিয়েছেন। বাংলায় ৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মাত্র ৬টা রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অ্যাক্টিভ রোগী বেড়েছে। তার মধ্যে শীর্ষে আবার পশ্চিমবঙ্গ (৮০৬)।
গতি কমার কোনও লক্ষণ এখনও নেই। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কলকাতায়(৬৯,৪৮৮)। কলকাতার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে উত্তর ২৪ পরগনা(৬৪,৭৮০)। কলকাতায় ৮১৩ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। পড়শি উত্তর ২৪ পরগণায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি (৮৩৮)।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনাকে বাদ দিলে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ২১,৩৮০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪০২ জন। হাওড়ায় গত একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৯ জন, হুগলিতে আক্রান্ত ১৪৮ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৪০, পূর্ব বর্ধমানে ৯২, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৬৬ জন।
দ্বিতীয়াতেই কলকাতার উত্তর শহরতলির একটি জনপ্রিয় পুজোমণ্ডপে ভিড় দেখেই শিউরে উঠছেন অনেকে। তাও যদি সবাই সঠিকভাবে মাস্ক পরে থাকেন, সেটাও হত। কিন্তু বেশিরভাগই তো মাস্কটাকে নিজেদের থুতনিতে লাগিয়ে দিব্য ঠাকুর দেখছেন। রাজ্য সরকার করোনা বুলেটিনে জানিয়েছে, গত একদিনে রাজ্যে ৩,৯৮৩ করোনা রোগীর সংখ্যা ধরলে এখনও পর্যন্ত বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩,২১,০৩৬। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২,৮১,০৫৩ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ৩৩,৯২৭। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৬,০৫৬।
উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসে রাজ্যে করোনা-সংক্রমণ যদি মাত্রাছাড়া হয়, তাহলে ফের লকডাউনের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হতে পারে প্রশাসন। আর বর্তমানে অর্থনীতির যা হাল, আর একবার লকডাউন হলে যে কার্যত বিপর্যয় হবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।