আর হাতে গোনা কয়েকটি মাস। তারপরই এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেখানে তাঁকেই ভেলকি দেখিয়ে নিজের জায়গা করতে হবে। সেখানে হঠাৎ নারদ–কাণ্ডে ফের তৎপর হয়ে উঠল ইডি। কিন্তু তিনি এখন বিজেপিতে। তাহলে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে নোটিস কেন পাঠাল ইডি? উঠছে প্রশ্ন। ইডি সূত্রে খবর, তাঁকে সমস্ত আয় ব্যয়ের হিসেবনিকেশ এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, সাত দিনের মধ্যে এইসব নথি জমা দিতে হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজেপিতে মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনা চলাকালীনই ইডি’র এই নোটিস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বেশ কিছুদিন আগে জুন মাসে একবার নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু তখন মুকুল রায় করোনা ও তার জেরে চলা লকডাউন পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সময় চেয়ে নেন। ফের এখন নোটিস পাঠাল ইডি। তাহলে এই নোটিস দিয়ে কী মুকুলকে সমঝে দেওয়া হল? এই প্রশ্নও উঠছে।
যদিও এই বিষয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম চিঠির কথা স্বীকার করলেও দ্বিতীয় চিঠির কথা স্বীকার করেননি। ইডি সূত্রে খবর, শুধু মুকুল রায় নয়। আরও বেশ কয়েকজনকেও নোটিস পাঠানো হচ্ছে। সেই নাম অবশ্য প্রকাশ করেনি তারা। এটাও বোঝা যাচ্ছে না, মুকুল রায় কেন এই নোটিসের কথা অস্বীকার করলেন? তবে কী অন্য খেলা অপেক্ষা করছে? উত্তর সময় দেবে।
ছবি—পিটিআই।