ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

৩৬ হাজার নয়, চাকরি বাতিল ৩২ হাজার শিক্ষকের

৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু পরে সেই সংখ্যা নিয়ে দেখা দেয় গরমিল । সোমবার আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বিষয়টি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মঙ্গলবার নিজের রায় সংশোধন করলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানালেন, ৩৬ হাজার নয়, আপাতত ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হচ্ছে। এদিন ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, তিনি মুখ খুললেন রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হয়ে যাবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ঝাঁকে ঝাঁকে চাকরি বিক্রি হয়েছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। আদালত দোষী নয়।

উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার। তবে সোমবার জানা গেল, চাকরি বাতিলের সংখ্যাটা ৩৬ হাজার নয়, ২৭ হাজারের কিছুটা বেশি। জানা গিয়েছে, টাইপোগ্রাফিক্যাল ভুলের জন্য এমন সংখ্যা বিভ্রাট হয়েছে। তাই সেই রায় সংশোধনের জন্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই আবেদন জানান মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। ২০১৪ সালে যে টেট হয়েছিল, তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রথম ধাপে নিয়োগ করা হয়। সেই সময় ৪২ হাজার ৫০০ জনের প্যানেল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

সেই প্যানেলে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নাকি বেনিয়মে চাকরি পেয়েছেন। এমন অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা হয়। ইতিমধ্যেই এই ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছে পর্ষদ।