বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ ও বারাসাতে সামান্য মাত্রায় প্রভাব ফেলল। বারাসাতে কমবেশি ২ ঘন্টার মধ্যে বনধের প্রভাব প্রাথমিকভাবে উধাও। একই অবস্থা বনগাঁতেও। বুধবার সাতসকালের ‘বিজেপির দাদাগিরি’ কাটিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক।
RG Kar কান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ আগস্ট নবান্ন অভিযানে পুলিশি ভূমিকার প্রতিবাদে বুধবার বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টা বাংলা বনধে বনগাঁ ও বারাসাতে প্রস্তাবিত বনধের দু’থেকে আড়াই ঘন্টার মধ্যে পরিস্থিতি প্রায় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে উঠল।
তবে, উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় বিজেপি কর্মীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি বনধের সকালে সবচেয়ে বড় ঘটনা যেখানে বিজেপি নেতাকে খুনের চক্রান্ত এরকম অভিযোগ তোলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং।
অন্যদিকে, বারাসাতে মাত্র ঘন্টা দুয়েক বনধের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। সকাল সাড়ে ছটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত বারাসাত চাপাডালি মোড় বন্ধ সমর্থনকারীরা মিছিল বের করে। বেশ কিছু গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে, একাধিক গাড়িতে বনধ সমর্থনকারীরা লাঠির বাড়ি মারে। রনংদেহি মূর্তিতে বিজেপি নেতা সমর্থকরা দাদাগিরি শুরু করে। দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। একটা গাড়ির কাঁচ চুরমার করে দেওয়া হয়। পুলিশ বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেনি। তৃণমূল বন্ধ প্রতিহত করার চেষ্টায় নামে। চাপাডালি মোড়ে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
অপরদিকে বারাসাত স্টেশনে ট্রেন আটকে রেখে ট্রেনের ইঞ্জিনের ওপরে উঠে লাফালাফি শুরু করে বিজেপি সমর্থকরা। এরকম অবস্থায় প্রচুর সংখ্যায় তৃণমূল কর্মী ময়দানে নামে। চাপাডালি মোড়ে তৃণমূল বিজেপি ধস্তাধস্তির পরে বারাসাত স্টেশনেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশের পাশাপাশি তৃণমূল সমর্থকদের উদ্যোগী হতে দেখা যায়। রাস্তায় প্রচুর সংখ্যায় দেখা যায় তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ও কর্মীদের। শেষ পর্যন্ত ট্রেন–বাস অবরোধ তুলে নিতে বাধ্য হয় বিজেপি সমর্থকরা। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। সাড়ে আটটা বাজতে না বাজতেই বনগাঁ, বারাসাত স্বাভাবিক হয়ে যায়।