রাজ্যের গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ডের নেতৃত্বে এবার নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলায় এই বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের পাশে দাঁড়ায়নি, রাজ্যকে প্রয়োজনীয় সাহায্য দেয়নি বলে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ফের অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, শনিবার এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের আলোচনায় খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক। করোনা পরিস্থিতির সমস্যার মূলের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছেন অভিজিৎ বিনায়ক, অমর্ত্য সেন–সহ আরও দুই অর্থনীতিবিদ। ‘যদি গোটা দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত সফল করতেই হয়, তা হলে গরীব মানুষের হাতে টাকা তুলে দিতে হবে। না–হলে মানুষ শুধু খাবারের খোঁজেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে!’ বলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত ১১ লাখ পিপিই অর্ডার দিয়েছে। তার মধ্যে ২ লাখ ৬০ হাজার ১০০ হাতে এসেছে। বাকি ৮ লাখ হাতে পেতে বাকি। এদিকে কেন্দ্র এতদিনে মাত্র ৩ হাজার পিপিই পাঠিয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো সেই পিপিই–গুলি আবার বিশেষ হলুদ রঙের বলেও তোপ দাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে তৈরি হল অ্যাডভাইজরি বোর্ড ফর কোভিড রেসপন্স পলিসি। আর তার নেতৃত্ব দেবেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬১। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের ও সুস্থ হয়েছেন ১৩ জন। করোনা পরিস্থিতি থেকে রাজ্যের অর্থনীতিকে পুনরায় চাঙ্গা করতে গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড ফর কোভিড রেসপন্স পলিসি ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যের অর্থনীতির হাল ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করবে এই বোর্ড। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হবে। বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কৃতী বাঙালিদের আহ্বান জানানো হবে এই বোর্ডে যোগদানের জন্য। বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কো–অর্ডিনেট করবেন ড. অভিজিৎ চৌধুরী ও ড. সুকুমার মুখোপাধ্যায়।