আজ মহাসপ্তমীর ভিড় ফিরিয়ে দিল শহরের খুব চেনা পুজো-ছবি। জমাটি ভিড়ের বোধন হল মণ্ডপে, রাস্তায়, অলিগলিতে। করোনার বিধিনিষেধ উড়িয়ে উৎসবে গা ভাসাল লাখো মানুষ। সংক্রমণের কী হবে? ভাবছে না কেউ। আপাতত উৎসব। ব্যস্ততা তুঙ্গে উঠল পুজো কমিটিগুলির। কোভিড বিধি রক্ষা করতে হবে তো! আর হুল্লোড়ে গা ভাসানোর দিনে আশার কথা শোনাল আবহাওয়া দপ্তরও।
তারা জানাল, পুজোর দিনগুলিতে বিপদে ফেলবে না ভারী বৃষ্টি। মহাষষ্ঠী থেকে বর্ষাবিদায় পর্ব শুরু হয়েছে রাজ্যে। তবে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলা নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার মহাষ্টমীর দিন থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টির মাত্রা বিজয়া দশমীর পরের দিন, অর্থাৎ শনিবার থেকে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ, মঙ্গলবার মহাসপ্তমীর দিন দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া মোটামুটি পরিষ্কার থাকবে। বুধবার মহাষ্টমীর দিন কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও নদীয়া জেলার কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যত্র বৃষ্টির সম্ভাবনা মহাষ্টমীতে খুব একটা নেই। নবমী ও দশমীতে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হবে। নবমী পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সর্বত্র আবহাওয়া ভালো থাকবে।
বিজয়া দশমীর দিন শুধু উত্তরবঙ্গের মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগরে ইতিমধ্যে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। মহাষ্টমীর দিন এটি উত্তর আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে এগবে এবং আরও কিছুটা শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবে ১৫ অক্টোবর নাগাদ দক্ষিণ ওড়িশা-উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে হাজির হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমী বাতাস সক্রিয় থাকার কারণে এর কিছুটা প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়বে।
এই কারণেই ১৩ তারিখ নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। নিম্নচাপটি যত এগবে, ততই বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে পারে। অষ্টমী থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস। তাই ষষ্ঠীর সকাল হতেই রাস্তায় নেমে পড়েছিল মানুষ। বেলা যত বেড়েছে, ততই উপচে পড়েছে ভিড়। করোনা যে এখনও যায়নি, দেখে বোঝার উপায় ছিল না।