জেলা

পৌষমেলা–বসন্ত উৎসব না করার সিদ্ধান্ত!‌

করোনাভাইরাসের জন্য এই বছর পৌষ মেলার আয়োজন করবে না বিশ্বভারতী। এমনকী আগামী বছর দোলের দিন বসন্ত উত্‍সবও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতেই মন খারাপ সকলের। আষাঢ়ের বৈঠকে পৌষের এই সিদ্ধান্তে ঐতিহ্যে ছেদ পড়ল। এই বছর ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার আয়োজন করবে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তখন শুনশান থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ১৮৯৪ সালে শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা প্রথম অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই পৌষ উত্‍সব শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের নিজস্ব অনুষ্ঠান বলেই খবর। ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর থেকে পৌষমেলা পরিচালনা করছে বিশ্বভারতী। তখন থেকে এই উৎসব নিয়ে উন্মাদনা চরমে থাকে। ১৯১৭ সালে মন্বন্তর আর ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত বাংলায় জাতি হিংসা ঘটে। তখন ওই দু’‌বছর পৌষমেলা হয়নি। এবার করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বন্ধ থাকছে পৌষমেলা–বসন্ত উৎসব।
করোনাভাইরাস ছাড়া এখানে আর একটি কারণ আছে। তা হল—২০১৯ সালে পৌষমেলায় দূষণ নিয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা হয়। দূষণরোধে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে মামলা করেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। উপাচার্য, কর্মসচিব–সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের হয়। এমনকী উপাচার্য, শিক্ষক–সহ ৫ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। তবে পৌষমেলা না হলেও তিন দিনের পৌষ উত্‍সব রীতি মেনেই হবে।