হাঁসখালিতে ১৪ বছরের কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র হাঁসখালি নয়, রাজ্যে পরপর একাধিক ঘটনায় আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেই প্রসঙ্গেই বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, রাজ্য সরকারের ওপর মানুষের আস্থা নেই বলেই আদালত এই নির্দেশ দিচ্ছে। এদিন সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “হাঁসখালি-কাণ্ডে আবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের ওপর কারও সামান্যতম আস্থা নেই।”
এদিন বেহালার ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের জেলায় জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ওরা বুঝে গেছে যে আর বেশিদিন দোকান চলবে না, ফলে ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে লড়াই। শেষে এসে যা পারো লুটে নাও। আর বোম-বন্দুক তো আছেই। পশ্চিমবঙ্গে যা হিংসার ঘটনা ঘটছে তাই তৃণমূল করছে।”
রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে, তা যেন দুঃস্বপ্নেও ভাবা যায় না আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বালিগঞ্জ ও আসানসোল- দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে এমনটাই বললেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন তিনি আরও বলেন, “কোনও মানে হয় না গণতন্ত্রের। আমরা সব জানাই নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় প্রহসনে পরিণত হয়েছে সবই। গণতন্ত্র আছে বলে মনে হয় না কলকাতা কর্পোরেশন এবং অন্যান্য কর্পোরেশনে যেভাবে ইলেকশন হয়েছে তাতে।” সাধারণ মানুষ ভোট দেবেন তবুও তিনি আশাবাদী। সেটাই তাঁরা মাথা পেতে নেবেন ফলাফল যাই হোক না কেন। তবে ভোটদান হওয়া উচিত সেটাই বলেন।