বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউনের সময় আবেদন করেছিলেন, কারও বেতন বন্ধ করবেন না। সরকারি–বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকেই এই আবেদন করেছিলেন তিনি। অথচ তাঁর রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল বেতন বন্ধের নোটিস দিল। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজে। বেতন দেওয়া হবে না মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন, পিজিটিদের বলে নোটিস টাঙিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে নোটিস ঘিরে ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাদের মধ্যে।
এমনকী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের তহবিলে টাকা নেই। টাকা এলে বেতন দেওয়া হবে। যদিও কর্তৃপক্ষের এই দাবি মানতে নারাজ জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের পাল্টা অভিযোগ, আন্দোলন বন্ধ করার জন্যই বেতন বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে রাজ্য সরকারের টাকা কী হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছছে না? নাকি এখানেও কোনও দুর্নীতি রয়েছে?
উল্লেখ্য, করোনার হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত কলকাতা মেডিকেল কলেজে অন্যান্য চিকিৎসাও শুরু হোক। এই দাবিতে ১ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জরুরি বিভাগের সামনে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। হাসপাতালে ডাক্তারদের বিক্ষোভের জেরে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার সমস্যার সমাধান করতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে যান স্বাস্থ্য দপ্তরের দুই অধিকর্তা। কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষের ঘরে ঘেরাও হয়ে যান। ভেস্তে যায় আলোচনা। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সামনে এল কর্তৃপক্ষের বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত।