নীরবেই হোক শেষকৃত্য৷ শব্দধ্বনি করো না। এমনটাই চাইতেন প্রয়াত কবি শঙ্খ ঘোষ৷ প্রয়াত কবিরও শেষ ইচ্ছা ছিল এটাই৷ তাই রাষ্ট্রীয় মর্য়াদা দেওয়া হলেও বাদ থাকছে তোপধ্বনি। তিনি চেয়েছিলেন, মৃত্যুর পর তাঁকে যেন গান স্যালুট না দেওয়া হয়৷ প্রয়াত কবি এবং তাঁর পরিবারের শেষ ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েই তাই শঙ্খ ঘোষের শেষকৃত্যে গান স্যালুটের আয়োজন করছে না রাজ্য সরকার৷
শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকজ্ঞাপন করে জানান, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য হবে প্রয়াত কবির৷ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলেও সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রোটোকল মেনেই শঙ্খ ঘোষকে গান স্যালুট দিয়ে শেষ বিদায় জানানো হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর উল্টোডাঙায় কবি শঙ্খ ঘোষ যে আবাসনে থাকতেন, সেই ঈশ্বরচন্দ্র নিবাসে পৌঁছন রাজ্যের পুরমন্ত্রী এবং কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের প্রধান ফিরহাদ হাকিম৷ পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, যেহেতু তাঁরা গান স্যালুট চাইছেন না, তাই পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী এদিন নিমতলা মহাশ্মশানে শঙ্খ ঘোষের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে৷
করোনায় আক্রান্ত হয়ে শঙ্খ ঘোষের মৃত্যু হয়েছে। তাই নিয়ম মেনে পুরসভার শববাহী বিশেষ গাড়িতে মরদেহ শশ্মানে নিয়ে যাওয়া হবে৷ কোভিড বিধি মেনে সেখানে পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকতে পারবেন৷ করোনায় আক্রান্ত হলেও বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চলছিল শঙ্খ ঘোষের৷ আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ প্রয়াত কবির স্ত্রী, এক মেয়ে এবং জামাইও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ ফলে কবির প্রয়াণের খবর পেয়ে অনেকেই আবাসন চত্বরে জড়ো হলেও সবাইকেই কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয় শঙ্খ ঘোষের পরিবারের পক্ষ থেকে৷
