Lockdown period extended to 17th May. Today central Government took this decision. The current lockdown was supposed to end on May 3.
জেলা রাজ্য

অনাহারে লরির চালক–খালাসিরা

হাহাকার কাকে বলে সীমান্ত এলাকায় না গেলে বোঝা যাবে না। খেতে পাচ্ছে না দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকগুলির চালক এবং খালাসিরা। এমনই ছবি দেখা গেল খালাসি বন্দর এলাকায়। সেখানে লম্বা লরির লাইন। খাবারে টান, কেবিন বন্দি চালক, খালাশিরা। প্রশ্ন একটাই— খাবার আসবে কোথা থেকে? লকডাউনের কারণে কোন গাড়ি ৬ দিন আবার কোনও লরি ৭ দিন ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। লরির কেবিন বন্দি হয়ে আছেন চালক এবং খালাশিরা। যেখানে খুশি ঘোরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ছে তারা। কষ্ট করে গরমের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে ঘুপচি কেবিনে।
চায়ের দোকান, রুটির দোকান, ধাবা–সহ সব বন্ধ। ফলে চূড়ান্ত খাবারের সমস্যা। যা রেশন ছিল সেটা শেষ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ওই এলাকায় দু’একটি দোকান থেকে রেশন কিনতে হচ্ছে। তাও চাল পেলে, ডাল নেই, আলু পেলে তেল নেই। এই পরিস্থিতিতেই দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। সঙ্গে আতঙ্ক চেপে বসেছে করোনাভাইরাসের। এই বুঝি কিছু ঘটে গেল। কিন্তু যদি ঘটেও তাহলে কী হবে?‌ উত্তর জানা নেই তাদের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, লোকবল কম থাকায় পন্য ওঠানো নামানোয় সমস্যা হচ্ছে। যার কারণেই এত দেরি। যে কাজ দু’দিনে মিটে যায়, সেটা এখন ৭ দিন লাগছে। কাজের চাপও প্রচুর। বন্দর এলাকাতেই আটকে রয়েছেন বিভিন্ন জেলার এই খালাশি চালকরা। তবু তাদের মুখে কোনও শব্দ নেই।