বেসরকারি বাস–মিনিবাসের ইচ্ছায় বাড়তি ভাড়া আদায় করার ঘটনায় এবার কড়া অবস্থান নিল পরিবহণ দপ্তর। উপযুক্ত পদক্ষেপ না করলে রাজ্য সরকার কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে। কলকাতার রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটির সচিব এই মর্মে চিঠি দিয়ে একাধিক বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনকে কার্যত সতর্ক করেছেন। বাসভাড়া ইস্যুতে বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গে নবান্নের স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। করোনা আবহে সাধারণ মানুষের তীব্র আর্থিক সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতিরিক্ত বাসভাড়ার দাবিকে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন।
পরিবহণ দপ্তরের এই কড়া চিঠিকে মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণ হিসেবেই দেখছেন বিভাগীয় কর্তারা। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়ার অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ছে। ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ সালের আরটিএ বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরানো চার্ট মেনে সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নিতে হবে। অন্যথায় মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘বৃহত্তর কলকাতায় আমাদের সংগঠনের কোনও কার্যালয়ে বাড়তি ভাড়া সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। গণপরিবহণে বাস সবচেয়ে সস্তার যান। সাধারণ যাত্রীরা সাগ্রহে অনুদান যুক্ত কিছু বাড়তি ভাড়া দিচ্ছেন। কারণ বিকল্প মাধ্যমে পরিবহণ খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি।’
অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, নিয়মবহির্ভূত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখা দরকার। ভাড়াকে ঠিক রেখে কিছু দান চাওয়া যেতেই পারে। দু-তিন টাকা যাত্রীদের থেকে সাহায্য চাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু ৯ টাকার ভাড়া ১৫ টাকার টিকিট ছাপিয়ে আদায় করলে তা পুরোপুরি বেআইনি।