বিধাননগরে ডেঙ্গুর সমস্যা দীর্ঘকালের। তবে চলতি বছরে একেবারে ভিন্ন ছবি। মে ও জুন মাস মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বিধাননগর পুর এলাকায় একজনেরও ডেঙ্গু সংক্রামিত হওয়ার খবর নেই। পুর কর্তৃপক্ষের তরফে এটাই জানা গিয়েছে। নিয়মিত নজরদারি ও মশার লার্ভানাশক প্রয়োগের কারণেই এই সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তাদের। এই বছরে যাতে একটিও ডেঙ্গুতে আক্রান্তের খবর না আসে, সেটি নিশ্চিত করতে চায় বিধাননগর পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে খবর, ডেঙ্গু প্রতিরোধে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। সেই দলের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার লার্ভানাশক তেল ইত্যাদি স্প্রে করছেন। সপ্তাহে একদিন করে এই কাজ চলছে। শুধু তাই নয়, সেই দলের সদস্যরা নিয়মিতভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের কেউ মশাবাহিত রোগে ভুগছেন কি না, তাও পরীক্ষা করে দেখবেন।
এই বিষয়ে পুর কমিশনার দেবাশিস ঘোষ জানান, ৬৪০ জনের একটি দল তৈরি করা হয়েছে। তাদের প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য এক-একটি টিমে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি টিমে তিনজন করে পুরকর্মী কাজ করছেন। খাস সল্টলেক শহরে প্রত্যেকটি ব্লকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এই টিমগুলি কাজ করছে। নিউটাউন ও রাজারহাট এলাকার জন্যও প্রতিটি ওয়ার্ড অনুযায়ী এই টিম ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি টিমকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন করে সুপারভাইজার। তাঁদের মাথায় রয়েছেন মুখ্য সুপারভাইজার।
পুরসভার মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, কোভিড ও মশাবাহিত রোগ নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক পুর কর্তৃপক্ষ। কেষ্টপুর খাল–সহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত জৈব লার্ভাসাইড প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে জল জমতে না দেওয়ার কথা প্রচার করা হচ্ছে। ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার। নিয়মিত স্যানিটাইজার ছড়ানোর ফলেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সুফল পাওয়া গিয়েছে। প্রায় সবকটি ওয়ার্ড দিনে দু’বার করে স্যানিটাইজ করা হয়।