ফের সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র। প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের প্রস্তাবিত ট্র্যাক্টর র্যালি নিয়ে কোনও নির্দেশিকা দিল না সুপ্রিম কোর্ট। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রস্তাবিত ওই ট্র্যাক্টর র্যালিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কোনও সিদ্ধান্ত জানাল না। বরং, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর দায় দিল্লি পুলিশের উপর ছেড়ে দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
আগামী ২৬ জানুয়ারি দিল্লির সীমান্তে আরও বড় আকারের ট্র্যাক্টর মিছিল আটকানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সর্বোচ্চ আদালত আজ তা বাতিল করল। ২০ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল আটকানোর দায়িত্ব প্রশাসনের। আদালতের পক্ষ থেকে এই মিছিল আটকানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে ভুল বার্তা যাবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
আদালতের এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ কৃষকদের এই বিক্ষোভ আটকানোর ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রকেই। আবার প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ বা কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হলেও বিশ্ববাসীর কাছে খারাপ বার্তা যাবে। রামলীলা ময়দানে প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে কি না তা ঠিক করবে দিল্লি পুলিশ বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়া শহরে কত লোক আসবে, কীভাবে আসবে তা ঠিক করবে পুলিশ। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে এদিন জানান, পুলিশ অ্যাক্ট–এর ব্যাপারে আদালতকে আগে সমস্ত তথ্য দিতে হবে। তবে মিছিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালত নেবে না।
ইতিমধ্যেই কৃষকরা জানান, তাঁদের ট্র্যাক্টর র্যালি প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানে কোনওরকম বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। দেশের সম্মান রক্ষায় কৃষকরাও বদ্ধপরিকর। কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভ আজ ৫৩ দিনে পড়ল। প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্ত থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করে মেগা ট্র্যাক্টর র্যালির আয়োজন করেছে কৃষকরা। মঙ্গলবার সরকার ও কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা আরও এক দফা আলোচনায় বসবেন।