চতুর্থ দফার লকাডাউনে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কেন্দ্র কার্ফু ঘোষণা করলেও এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানালেন, রাজ্যে কোনও কার্ফু জারি করা হচ্ছে না। লকডাউন চলবে। তবে আলাদা করে কার্ফু জারি করা হচ্ছে না। এই রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনকে তিনটি (এ, বি, সি) ভাগে ভাগ করা হল বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জোন হল সংক্রমিত এলাকা। বি জোন হল বাফার জোন। সি হল ক্লিন জোন।
মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, সন্ধ্যা ৭টার পর বাইরে বেরবেন না। সন্ধ্যা ৭টার পর বাইরে বেরলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। পুলিসকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না। সরকারি ভাবে এই রাজ্যে কার্ফু ঘোষণা করা হচ্ছে না। ২১ তারিখ থেকে সব বড় দোকান খুলবে। হোটেল খুলবে। তবে রেস্তরাঁ এখনই খুলছে না। পাশাপাশি খুলবে হেয়ার কাটিং সেলুন ও বিউটি পার্লারও। একজনের কাঁচি, ব্লেড অন্যজনকে ব্যবহার করা যাবে না। একজনের শরীরে ব্যবহারের পর সেগুলি স্টেরিলাইজ করে নিতে হবে।
২৭ তারিখ থেকে হকার বাজার খোলার চেষ্টা করা হচ্ছেও বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পুরসভা ও পুলিশের যৌথ কমিটি। মূলত জোড় বিজোড় নীতিতেই হকার বাজার খোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন জেলার মধ্যেও সরকারি বাস পরিষেবা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেসরকারি বাস পরিষেবা শুরু করতেও অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সরকারি, বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করা যাবে। এছাড়া ২১ মে থেকে শুরু হবে আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা। আর সিনেমা হল, থিয়েটার হল নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েও রাজ্য সরকার যা ভাবছে, সেটাও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, রাজ্যে এখনও ১৬টি স্পেশাল ট্রেন এসেছে, আরও অনেকগুলি ট্রেন রাজ্যে আসবে। ২৩৫টি ট্রেনের সমস্ত খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।
দোকানদের মাস্ক ও গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেকদিন দোকান স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, সবসময় মাথায় রাখতে হবে মাস্ক মানে ওয়ান মাস্ট রেস্পেক্ট আদারস। বাইরে বেরলেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। দোকান, হকার্স মার্কেট, বাসের পাশাপাশি এবার অটো চালুর কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৭ তারিখের পর থেকে অটো চলবে বলে জানান তিনি। কোনওরকম ভিড় বা জমায়েত ছাড়া খেলা চলতে পারে। শপিং মল খোলা যাবে না, তবে মলের ভিতর কোনও অফিস থাকলে তা খোলা যাবে। একইসঙ্গে এদিন কোনও অনুষ্ঠান উপলক্ষে জমায়েতের সংখ্যার ঊর্ধ্বসীমাও বাড়ানো হয়েছে। ৭ জন থেকে বাড়িয়ে ১৫ জন করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।