সুপ্রিম কোর্টে কিছুটা স্বস্তি পেল বেসরকারি বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলি। লকডাউনের সময়ে যে সংস্থা তাদের কর্মীদের বেতন দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। লকডাউনের মধ্যে বেতন সমস্যা নিয়ে কর্মী ও নিয়োগকারীদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট শ্রম কমিশনকে জমা করতে হবে। গত ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের মধ্যেও পুরো বেতন দিতে নির্দেশ জারি করে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে এই নির্দেশের আইনি বৈধতার বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে। কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের মধ্যে বেতনের সমঝোতা প্রসঙ্গে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে হবে। এমনকী লেবার কমিশনকে সেই রিপোর্ট ফাইল করতে হবে। বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন বলেন, ‘এটার মধ্যে কোনও সন্দেহ নেই নিয়োগকারী এবং কর্মী, দু’জনেরই দু’জনকে প্রয়োজন। ৫০ দিনের মধ্যে বেতন সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
কেন্দ্রীয় সরকারের গত ২৯ মার্চ জারি করা নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জুলাই মাসে। এদিন দেশের সর্বোচ্চ আদালত আরও নির্দেশ দেয়, যেসব কর্মীরা বেতনের অসুবিধা সত্ত্বেও কাজ করে যেতে চান, তাঁদেরকে কাজ করতে দিতে হবে। উল্লেখ্য, বহু সংস্থা তদের কর্মীদের ৫০ থেকে ৫৪ দিনের বেতন এখনও দেয়নি বলে অভিযোগ।