কানপুর ও উন্নাওতে সুগন্ধি ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি অনুসন্ধানে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। টুইটে উত্তরপ্রদেশের কানপুর ও উন্নাওতে সুগন্ধি ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি অনুসন্ধানের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “ঠিক জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছিল…এই তল্লাশির কারণে কি প্রাক্তন ইউপি মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ভয় পেয়েছিলেন?”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইউপিতে পি জৈনের কনৌজ ও কানপুরের বাড়ি ও কারখানায় তল্লাশি করে ১৯৪ কোটি নগদ ও ২৪ কিলোগ্রাম সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়, তাঁর নাম পীযূষ জৈন। বিজেপির দাবি তিনি সমাজবাদী পার্টির নেতা।
তবে অখিলেশ জানিয়েছেন, এই জৈন সেই জৈন নয়। ‘সমাজবাদী আতর’ বাজারে এনেছেন পুষ্পরাজ ওরফে পম্পি জৈন। তিনি এসপি-র টিকিটে বিধান পরিষদের সদস্য। বছর ষাটেক বয়সের এই ব্যবসায়ীর নামে অপরাধের কোনও অভিযোগ নেই। তিনি এসপি-র নেতা হিসেবে এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়। এঁর আর কোনও ব্যবসাও নেই।
তবে কি তদন্তকারী সংস্থার কোন ভুল? জিএসটি কর্তারা অবশ্য বলছেন, কোনও ভুল হয়নি। তাঁদের কাজ কর ফাঁকি ধরা, যা তাঁরা করেছেন। এ বার কেউ কেউ তাতে রাজনীতির রং লাগাচ্ছেন। এর দায় তাঁদের নয়। তবে আতর নিয়ে আর কথাই বলছেন না বিজেপি নেতারা।
তবে কে ওই ধৃত জৈন? অখিলেশ বলেন, বিজেপির সঙ্গী হয়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন ওই পীযূষ জৈন। কনৌজের লোক হলেও সপরিবার থাকেন কানপুরে। তবে কনৌজে পুরনো বাড়িতেও সম্প্রতি কারখানা খুলেছিলেন। আতরের পাশাপাশি গুটকা আর পান মশলার কোম্পানিগুলোর কাছে ভোজ্য সুগন্ধী বিক্রির ব্যবসা শুরু করেই রমরমা হয়েছে পীযূষের ব্যবসার। তাঁর সঙ্গে এসপি-র কোনও লেনদেন নেই।
উত্তরপ্রদেশের ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে বাক যুদ্ধ। টুইট পাল্টা টুইট। নির্মলা সীতারামনের টুইট তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।