এবার সম্মুখসমরে কেন্দ্র–রাজ্য। ভার্চুয়াল জনসভা থেকে কার্যত রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার অভিযোগ তুললেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানালেন, তথ্য সরবরাহ না করার জন্যই কেন্দ্রের ‘গরীব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ থেকে বাদ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ‘শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন’ নিয়েও ফের বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
করোনা, আমফান, সিএএ থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যু—সবেতেই মমতা বন্দোপাধ্যায় নিছক বিরোধিতা করার জন্যই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছেন বলে তাঁর অভিযোগ। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল জনসভায় তাঁর অভিযোগ, ‘শুধু দলীয় রাজনীতির কারণে তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের সব প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। মাঝখান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলার মানুষ। তার জন্যই রাজ্যে পরিবর্তন দরকার।’ যদিও এদিন পেট্রোল–ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও একটি শব্দও খরচ করেননি নির্মলা।
প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের উদ্বোধন করার ফলে দেশের ১১৬টি জেলা সুবিধা পাচ্ছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলা নেই। তৃণমূল সরকার তথ্য না দেওয়ার কারণেই এটা হয়েছে। বাংলায় ক্ষমতাসীন প্রশাসন চাইছে না, সে রাজ্যে কেন্দ্রের কোনও জনহিতকর নীতি কার্যকর হোক। অর্থমন্ত্রীর এই অভিযোগের পাল্টা দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করেছেন, ‘একজন ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী অর্থনীতিকে চাঙা করার পরিবর্তে সিএএ, ৩৭০ ধারা, করোনা এবং আমফানের মতো বিষয়গুলি নিয়ে ভাষণ দিচ্ছেন, ডুবতে বসা বিজেপিকে বাঁচানোর জন্য।’
ভারত–চিন সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে কেন্দ্রকে সমর্থন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে নির্মলা বলেন, ‘আমি একটি বিষয়ের জন্য তাঁকে কৃতিত্ব দেব। কমপক্ষে ভারত–চিন সীমান্ত ইস্যুতে তিনি কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।’ নির্বাচনী জনসভার ভাষণের ঢঙে দেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই সরকারের পরিবর্তন করতেই হবে। সোনার বাংলা গড়তে হবে আমাদের। একসময় এই রাজ্যে কলকারখানা ছিল। এখন কিছুই নেই। বহু শিল্পপতি বাংলায় বিনিয়োগ করতে চান। কিন্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে তাঁরা আসছেন না। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে বিনিয়োগ আসবে।’
